Cigarette Price: এবার কি মূল্যবৃদ্ধির আগুনে জ্বলবে সিগারেটও, কী বলছে আগামী বাজেট

মূল্যবৃদ্ধির(Inflation) জেরে একেবারে জেরবার হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। সকালের চায়ে চিনি থেকে রাতের ঘুমের ওষুধ দাম বেড়েছে সব কিছুর। তারইমধ্যে আবার জানা যাচ্ছে, আগামী বাজেটে(Budget) দাম বাড়তে পারে তামাকজাত দ্রব্যের(Tobacco Made Product)। সুতরাং এটা বলা বাহুল্য যে, খুব অসুবিধায় পড়তে চলেছে তামাকগ্রহণকারীরা বা বলা চলে বিশেষত সিগারেট(Cigarette) প্রেমীরা।
উল্লেখ্য, চিকিৎসক, অর্থনীতিবিদ, জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো অর্থমন্ত্রকের কাছে একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে। সেই সুপারিশে তাঁরা জানিয়েছেন, কোষাগার ভরতে সিগারেট(Cigarette), বিড়ি(Bidi) ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যে(Tobacco Made Product) রাজস্ব(Tax) বাড়ানো কার্যকর সিধান্ত হবে। এই পদক্ষেপে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে।” তাঁদের দাবি, তামাকজাত দ্রব্যে(Tobacco Made Product) রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে সরকারের আয় বৃদ্ধি পাবে। পাশপাশি, তামাকসেবনেও দেখা যেতে পারে হ্রাস এবং এর ফলে এই করোনা পরিস্থিতিতে কোমর্বিডিটি নিয়ন্ত্রিত হবে।” স্বেচ্ছা স্বাস্থ্য সংগঠনের প্রধান কর্তৃপক্ষ ভাবনা মুখোপাধ্যায় জানান, তামাকজাত দ্রব্য থেকে উৎপাদিত আয় মাধ্যমে পরবর্তীকালে কোভিড নিয়ন্ত্রণ, টিকাকরণ, টিকা আমদানি ও নানা স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই সুপারিশের মূল্য লক্ষ্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা। তামাকজাত দ্রব্যে দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও ঘাটতি দেখা যেতে পারে। আর সেই লক্ষ্যকেই পরিপূর্ণ করতে এদিন চিকিৎসক, অর্থনীতিবিদ ও জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলি কেন্দ্রের কাছে আগামী বাজেটের আগে এই সুপারিশটি পাঠায়। করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ২০১৬-১৭ একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার মারাত্মক। গোটা দেশের প্রায় ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ তামাকজাত দ্রব্যের সেবন করেন। পরিসংখ্যানের হিসেবে দেখতে গেলে জানা যায়, গোটা দেশের ২৯ শতাংশ মানুষ তামাকসেবন করেন। তবে এই অধিকাংশ তামাকজাত দ্রব্যই ধোঁয়াবিহীন অর্থাৎ দেশের অধিকাংশ মানুষ খৈনি, গুটকা এই জাতীয় দ্রব্য মাধ্যমে তামাক সেবন করেন।
আরও পড়ুন…..Cement Price- মূল্যবৃদ্ধির আগুনে সব কিছুই পুড়ে ছাই খাই, বাড়তে পারে সিমেন্টের দাম
উল্লেখ্য, এই অত্যাধিক তামাক সেবনের জেরে দিন দিন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের শরীর। যা করোনাপর্বে বিশেষভাবে লক্ষণীয় হয়েছিল। শরীরের প্রতি অযত্নের জেরে কোমর্বিডিটির শিকার বহু মানুষ। ফলত, ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনার(Corona) জেরে দ্রুত অসুস্থতা ও মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে, ঈশ্বরের নিজের দেশেও থাবা বসাল ওমিক্রন। কেরলে(Kerala) হদিশ মিলল প্রথম ওমিক্রন(Omicron) আক্রান্তের। কেরল, চণ্ডীগড় এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আজ, রবিবার করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। আপাতত, দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮। বর্তমানে, ওমিক্রনের আতঙ্ক ঘুম কেড়েছে চিকিৎসক মহলের। ধীরে ধীরে নিজের পরিসর বৃদ্ধি করছে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট। যার জেরে এক প্রকার ঝড় আসার আগের শান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। বিশেষজ্ঞদের মতামত, এই পরিস্থিতি ফের কঠোর করোনাবিধির বাঁধনে সকল সাধারণ মানুষকে বাঁধতে হবে। তবেই মিলতে পারে ওমিক্রন ঢেউ থেক মুক্তি।