Indian Railway: অবশেষে ‘স্পেশাল’ তকমা থেকে মুক্ত দূরপাল্লার ট্রেন, কমছে ভাড়াও
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা কমতেই এবার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে রেল পরিষেবা । ‘স্পেশাল’ খোলস থেকে মুক্ত হতে চলেছে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন। রেল বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টরের তরফে ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ সংস্থার প্রতিটি জোনাল দফতরে পৌঁছে গিয়েছে। ফলস্বরূপ নতুন সময়সূচি কী হবে? ভাড়া কী হবে ? এই নিয়েই নানা চর্চা চলছে রেলযাত্রীদের মধ্যে। অবিলম্বে নির্দেশ কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
করোনাকালে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু, যেগুলি চলছিল সেইসব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ‘স্পেশাল’ তকমা দিয়ে চলছিল। কোভিড পূর্ববর্তী পরিস্থিতির তুলনায় ভাড়া প্রায় দেড়গুণ নেওয়া হচ্ছিল। রেল সূত্রে খবর, কোভিড আবহে যাত্রী চাপ কমাতেই রেল এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। অর্থ্যাৎ কোভিডপূর্ব টাইম টেবিল মেনেই ট্রেন চালানো হবে। ভাড়া ও তার শ্রেণিবিভেদও আগের মতোই থাকবে, জানিয়েছে রেলমন্ত্রক।
সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ফলে জনজীবনও অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। তবুও স্পেশাল তকমা দিয়েই চলছে সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন। যাত্রীদের ভাড়াও গুণতে হচ্ছে বেশি। যা ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। ক্ষোভ-বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এরপরই মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে ‘স্পেশাল’ খোলস থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল রেল। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সব স্পেশাল ট্রেনে সফরের জন্য যাত্রীদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও বলা হয়েছে, আগাম টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ভাড়ার কোনও পরিবর্তন হবে না। অর্থ্যাৎ আগে যে ভাড়ায় ট্রেনে চাপা যেত সেটিই দিতে হবে যাত্রীকে। এব্যাপারে সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার জন্যও রেলের তরফে বলা হয়েছে। এদিকে রেল সূত্রে খবর, করোনাকালের আগে প্রায় ১৭০০ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলত। ধাপে ধাপে তা কমিয়ে দেওয়া হয়। আগে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলত প্রায় সাড়ে তিন হাজার। সেই সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। তবে ধাপে ধাপে তা স্বাভাবিক হবে। তবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ৭৫ শতাংশ ট্রেনের স্পেশাল তকমা উঠে গিয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশেও পুরানো ভাড়া চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন….TMC: নজরে গোয়া, ঘাসফুলের টিকিটে রাজ্যসভায় পা দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
জোনাল দফতরগুলিকে লেখা নির্দেশিকায় রেলবোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর কোচিং রাজেশ কুমার জানিয়েছেন যে, “কোভিড পরিস্থিতির জন্য নিয়মিত মেল, এক্সপ্রেস চালানো সম্ভব হয়নি। অনিয়মিতভাবে কিছু ট্রেন চালানো শুরু হয়। প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমে ট্রেনগুলিকে আনতে তার নম্বরের সামনে ‘শূন্য’ বসিয়ে স্পেশ্যাল তকমা বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে আসায় পুনরায় সব ট্রেন চালু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শ্রেণিতে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত হবে।” তবে, কবে থেকে এই বিধি কার্যকর হবে তা উল্লেখ নেই নির্দেশিকায়। রেলের এক সিনিয়ার আধিকারিকের কথায়, ‘অবিলম্বে কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। হয়তো এক-দু দিন সময় লাগবে।’ বিভিন্ন রুটে বন্ধ থাকা বিশেষ ট্রেনগুলি চালু হবে কিনা সেই নিয়ে কিছু বলা হয়নি নির্দেশিকায়।
লকডাউনের জেরে রেলের আয় তলানিতে এসে পৌঁছেছিল। কিন্তু, এখন স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে সামাল দিচ্ছে রেল। ফলস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যাত্রীপরিবহণ খাতে রেলের আয় ১১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।