Indian Railway: মাঝারি দূরত্বের রেল সফর কমলো ঝঞ্ঝা, সূচনা ‘মেমু’ রেকের

মাঝারি দূরত্বের রেল(Rail) সফরে যাত্রীদের ঝঞ্ঝার কোনও শেষ ছিল না। বসার জায়গা, শৌচ থেকে শুরু করে নানা প্রকার মানসিক ও শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। এই পরিস্থিতি রাজ্যবাসীর কথা ভেবে ভারতীয় রেল(Indian Rail) তরফে চালু করা হল আধুনিক প্রযুক্তির মেমু রেক। এটি প্রথম ছুটবে শিয়ালদহ ডিভিশনে(Sealdah Divison)। ওই ট্রেনে মাঝারি দূরত্বেও মিলবে এক্সপ্রেস ট্রেনের(Express Train) প্রায় সমতুল পরিষেবা।। মঙ্গলবার ব্যারাকপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই রেকের যাত্রার সূচনা করলেন বিজেপি(BJP)-র সাংসদ অর্জুন সিংহ ও জগন্নাথ সরকার। অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের(East Rail) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে আপাতত দুটি রেক এসেছে। আসবে মোট চারটি। সবক’টিই চলবে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায়।
বর্তমানে সারা যাতায়াতের সময় ও রক্ষণাবেক্ষণের ঝক্কি কমাতে মাঝারি দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে মেমু(Mainline Electric Multipoll Unit)-তে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতদিন ডিজেল বা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের সঙ্গে ওই কামরাগুলিকে জুড়ে ট্রেনটি চালানো হত। পরে কিছু ক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনে সামান্য অদলবদল ঘটিয়ে, তাতে শৌচালয় যোগ করে চালানো শুরু হয়। তবে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে নির্মিত এই মেমু রেকগুলি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কথা ভেবেই তৈরি।
উল্লেখ্য, ১২ কোচের এই রেকগুলি সম্পূর্ণরূপে স্টেনলেস স্টিলের তৈরি। যার জেরে এগুলি যথেষ্ট হালকা। পাশাপাশি, ইথারনেট-নির্ভর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছাড়াও জিপিএস-নির্ভর প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম রয়েছে। ট্রেনের টেলর কোচে থাকছে জৈব শৌচাগার। প্রতিটি কামরায় গদি আঁটা আসন ছাড়াও চারটি সিসি ক্যামেরা, আধুনিক আলো ও ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকছে। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অ্যালার্ম চেন ও ইমার্জেন্সি বাটন রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালাতে গার্ডের কামরায় আছে মনিটর।
আরও পড়ুন……Indian Railways: জানেন কি, কেন ভারতীয় রেলের দূরপাল্লার বগি নীল হলেও রাজধানীর বগি হয় লাল
মেমু সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার। প্রত্যেক রেকে মেট্রোর মতো রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম থাকায় বছরে এক-একটি রেকের বিদ্যুৎতের খরচ বাবদ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে। এই মেমু রেকের প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মূল জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “নতুন রেকগুলিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়বে সফরের সময় ও রক্ষণাবেক্ষণের ঝক্কি কমবে।”