জামতারা ২.০! ইনস্টাগ্রামেই মাথাচাড়া দিচ্ছে নয়া সাইবার অপরাধ, অজানা ভিডিও কলেই মারণ ফাঁদ
করোনাকালে গোটা বিশ্ব তথা ভারতে অনেকটাই বেড়েছে ইন্টানেটের ব্যবহার। এদিকে এই ইন্টারনেটের ধরেই গোটা দেশে রোজই গজিয়ে উঠছে নিত্যনতুন প্রতারণা চক্র। গত কয়েক মাস ধরেই ভারতে নতুন করে শুরু গয়েছে নয়া জামতারা গ্যাংয়ের দাপট। এই জামতারা গ্রুপ আদপে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্য পরিচিত। বর্তমানে এই নয়া চক্রই বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ফাঁদে পড়ে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের।
সম্প্রতি, এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছে। অন্যদিকে কাকতালীয়ভাবে প্রতি রাজ্যের পুলিশেরই দাবি প্রতিটা ঘটনার সঙ্গেই একটি নির্দিষ্ট যোগসূত্র রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানের ভরতপুর, মথুরা এবং মেওয়াত থেকেই এই কাজ চালাচ্ছে নয়া জামতারা গ্যাং। বর্তমানে জামতারা ২.০ নামেও কুখ্যাত হয়েছে এই প্রতারকের দল।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে। অভিযোগকারী জানান, কিছুদিন আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে এক অচেনা বন্ধুর মহিলার অনুরোধ পেয়েছিলেন। অনুরোধ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই ওই মহিলা তার হোয়াটঅ্যাপ নম্বর চায়। যদিও ওই ব্যক্তি তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিতে অস্বীকার করেন, মহিলা ইনস্টাগ্রামে ভিডিও কল করতে থাকেন। প্রথম কল প্রত্যাখ্যান করলেও একটা সময় ধরতেই ঘটে যায় বিপত্তি। দেখা যায় ভিডিও কলে নগ্ন অবস্থায় অশালীন ইঙ্গিত করছেন এক মহিলা।
এই ঘটনা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেলে মুহূর্তে কলটি কেটে দেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু ততক্ষণে তার ফোনে চলে আসে ওই মহিলার সঙ্গে সেক্স চ্যাটের ক্লিপিং। পৌঁছে যায় আত্মীয় পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের কাছেও। অভিযোগকারীর দাবি ভিডিও কলেই তার মুখে ছবি তুলে নিয়ে তা অন্য কোনও ব্যক্তির দেহের সঙ্গে জুড়ে সুপারইম্পোজ করা হয়। আর তা দিয়েই তাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে জামতারা গ্যাংয়ের সদস্যরা। চাওয়া হয় টাকা। মানসিক চাপ আর সম্মানহানি ঠেকাতে অবশেষে তিনি বাধ্য হয়ে দ্বারস্থ হন পুলিশের।