Omicron variant: বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক, বেঙ্গালুরুতে খোঁজ মিলছে না ১০ বিদেশির, দিল্লিতে বাড়ছে সম্ভাব্য আক্রান্ত

২০২০- র প্রথম থেকে করোনার আক্রমণ বাড়ছিলো ভারতে। এরপর ভ্যাকসিন ভারতে আসায় সংক্রমণ কমেছে ক্রমশই। আগে দিনে হাজারের কাছাকাছি সংক্রমণ থাকলেও এখন সেটা কমে কয়েকশো এর কাছাকাছি এসেছে। এরই মধ্যে লকডাউন লঘু করেছে সরকার। শুরু হয়েছে স্কুল কলেজ। ভারত সহ পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশই করোনার সংক্রমণ কমে আসায় রাজ্যবাসী ইতিমধ্যেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু সে রক্ষা হলোনা। নতুন ভাবে ধরা পড়লো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’। নতুন ভ্যারিয়েন্ট-র সাথে নতুন আতঙ্কে ভুগছে রাজ্যবাসী। করোনার সাথে আবার নতুন রোগের দেখা পাওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতে। ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করেছে ‘ওমিক্রন’, আক্রান্ত কর্নাটকে দুইজন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে প্রথম শনাক্ত করেন চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি। দেশে যারা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন তাদের মধ্যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পেয়েছে সেই ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। সর্বভারতীয় এক চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া দুই ধরনের মানুষের শরীরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, তবে তার লক্ষণ অতি সামান্যই। সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে এবং পজিটিভিটির হার দাঁড়িয়েছে ১৬.৫ শতাংশে। টিকাকরণ হওয়া, না হওয়া মানুষ এবং শিশুদের মধ্যে এর সামান্য লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হওয়া এক ব্যক্তির আবার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।”
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই কর্নাটকের সরকার আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন সকলের মধ্যে। তিনি জানান ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আরও ১০জন এয়ারপোর্ট থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাদের ইতিমধ্যেই খুঁজছে কর্ণাটক প্রশাসন। ওমিক্রনের আতঙ্ক সাথে নিখোঁজ ব্যক্তির খবর সব মিলিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারত সহ কর্নাটকে। ওমিক্রণ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন যে দুজন, তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৬৬। তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ওই ব্যক্তি সহ আরও ৫৭ জন বিদেশ থেকে ভারতে আসেন। সকলেরই করোনা পরীক্ষা করায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তবে তাঁদের মধ্যে ব্যাঙ্গালুরুতে ১০ জন ইতিমধ্যেই নিরুদ্দেশ। ফোন সুইচ অফ, যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা তাদের সঙ্গে। পাশাপাশি দিল্লিতে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যাও।
আরও পড়ুন- গ্রামের মাঝেই দেহ ব্যবসা, রাত বাড়তেই ঢুকত অচেনা যুবক-যুবতীর দল, হাতেনাতে ধরল স্থানীয়রা
এমতাবস্থায় লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, “কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে যে সব দেশকে চিহ্নিত করেছে, সেই সব দেশ থেকে গত কয়েকদিনে ১৬০০০ জন এসেছেন ভারতে। এর মধ্যে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত। এরই মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশে। গত ১০ দিনে বিদেশ থেকে ফিরেছে এমন ৩০ জনের কোনও খোঁজ নেই। জানা গিয়েছে গত ১০ দিনে ৬০ জন এসেছেন বিদেশ থেকে। তাঁরা বিশাখাপত্তনমে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩০ জনে সেখানেই রয়েছেন, বাকিরা অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।” পাশাপাশি কর্নাটকের রেভিনিউ মিনিস্টার আর অশোক এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জানিয়েছেন, “আজ রাতের মধ্যেই যাতে ওই ১০ জনকে খুঁজে বের করে করোনা পরীক্ষা করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এয়ারপোর্ট ছেড়ে যেতে দেওয়া হবে না কোনও যাত্রীকে।” সুতরাং বর্তমানে জাওয়াদ, করোনা এবং সবশেষে ওমিক্রন নিয়ে ভয় ও উদ্বেগে জর্জরিত রাজ্যবাসী।