বারংবার উত্তেজনা কাশ্মীর জুড়ে, হামলার পিছনে কি ফের হাত পাকিস্তানের?
ফের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা। জঙ্গিদের এবারের নিশানা ছিল শ্রীনগরের বেমিনা এলাকার একটি সরকারি হাসপাতাল। আজ দুপুরের দিকে সেই হাসপাতালে সশস্ত্র প্রবেশ করার চেষ্টা করে জঙ্গি সংগঠন। সেসময় হাসপাতালের গেটে মোতায়েন ছিলেন দুজন সেনা জওয়ান। জঙ্গিরা প্রবেশ করতে চাইলে সেই মুহূর্তে বাধা দেন জওয়ানরা এবং শুরু হয় গুলির লড়াই।
তবে সেই গুলির লড়াইয়ে কোনো সুফল হয়নি। সেসময় হাসপাতালে থাকা সাধারণ নিরপরাধ মানুষকে সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। তবে বর্তমানে সমস্ত হাসপাতালটি নিরাপদ সুরক্ষা বলয়ের দ্বারা ঘিরে ফেলা হয়েছে।সূত্র মারফত জানা গেছে, এই লড়াইয়ে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আপাতত ঐ জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১১ ই অক্টোবর থেকেই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের তল্লাশি চালাচ্ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত অঞ্চলের জওয়ানরা। বেশ কিছুদিন আগেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জঙ্গিদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার জন্য পাকিস্তানকে নিশানা করে বলেন, “আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার চেষ্টা করেও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কোনও সমর্থন আদায় করতে পারেনি পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।” একইসঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন “মনে করে দেখুন আগের সরকারের সময়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কেমন নরম মনোভাব ছিল। জঙ্গি হানা ঘটলে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলিকে লঘু করা হত, এতে জঙ্গিরাই লাভবান হত। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি বদলেছে।”
আরও পড়ুন………………….এখনও কাটেনি রহস্যের মেঘ! অস্বাভাবিক ভাবে মারা গিয়েছিলেন ভারতের এই রাজনৈতিক নেতারা
৩৭০ ধারা উপলব্ধ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রথমবার কাশ্মীর সফরে গিয়েই উপত্যকা এলাকায় প্রয়োজনের অধিক সেনাবাহিনী থাকার পরেও জঙ্গি হামলা কেন বারংবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, “এতদিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল কাশ্মীর, কিন্ত নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মীরের উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর।”