Kargil Vijay Diwas: ‛ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর’, কার্গিলের চূড়া বেয়ে আজও ভেসে ওঠে জওয়ানদের বিজয়ী চিৎকার

মন্টি শীল, কলকাতা: ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট এক গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করার পরেও একাধিকবার ভারতবর্ষের মাটিতে ঝড়েছে রক্ত, প্রাণ গেছে দেশের হাজারও বীর সন্তানের। আজ থেকে ঠিক ২৩ বছর আগে ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এর প্রধানমন্ত্রীত্ব থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং সেনা প্রধান পারভেজ মোশাররফের নেতৃত্বে পাক আধা-সামরিক বাহিনী জম্বু ও কাশ্মীর আক্রমণ করেছিলেন ( Kargil War )। লক্ষ্য একটাই ছিল ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমস্ত আউটপোস্ট দখল করা।

আর জম্বু ও কাশ্মীর উপত্যকার এক বিরাট এলাকা নিজেদের দখলে রাখা। কিন্তু ভারতীয় সেনা বাহিনীও পাকিস্তানের এই স্বরযন্ত্রে পিছু পা হয়নি। বরং বীরত্বের সঙ্গে একটানা ৬০ দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান। যার দরুন প্রায় ৫২৭ জন বীরসন্তান শহীদ হন এবং আজকের দিনেই অর্থাৎ ২৬ শে জুলাই ১৯৯৯ সালে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের দখল করা সমস্ত বাঙ্কার দখল করে নেয়। যা তথাকথিত ভাবে কার্গিল দিবস ( Kargil Vijay Diwas ) হিসেবে পরিচিত। কিন্তু জানেন কি, এই যুদ্ধ জয়ের জন্য কিছু ভারতীয় বীর যোদ্ধার ( Kargil War Heroes ) অবদান ভারতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। একনজরে জেনে নিন তাদের সম্পর্কে।

26c42

কার্গিল বিজয়ের অন্যতম কারিগর হল ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা। যিনি সেনাবাহিনীতে পরিচিত ‘টাইগার অফ ড্রস’ নামে। ইতিহাস অনুসারে, ভারতীয় সেনার এই ক্যাপ্টেন ১৯৯৯ সালের যুদ্ধে লড়াই করে মাত্র ২৪ বছর বয়সে শহিদ হন। যুদ্ধের ময়দানে তাঁর এক বিশেষ ধ্বনি ‘ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর’ আজও সেনা জওয়ানদের উদ্ভুত করে। মৃত্যুর পর যুদ্ধের ময়দানে বীরত্বের জন্য তাকে সেনা বাহিনীর তরফে পরমবীর চক্র দেওয়া হয়। এই যুদ্ধে শহীদ হওয়া অপর এক বীরসৈনিকের নাম হল ক্যাপ্টেন গ্রেনাডিয়ার যোগেন্দ্র সিং যাদব। ভারতীয় সেনার ইতিহাসে এই সেনা কর্তা সর্বকনিষ্ঠ যিনি পরমবীর চক্র পান।

26c43

১৯৯৯ এর ১২ ই জুন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে তাঁর ব্যাটেলিয়ন টোলিং দখল করতে গিয়ে সেনা বাহিনীর ২ জন কর্মকর্তা, ২ জন জুনিয়র কমিশনার এবং ২১ জন সেনা জওয়ানের জীবন উৎসর্গ হয়। এই যুদ্ধের অপর ভারতীয় বীর যোদ্ধা হলেন লেফটেন্যান্ট মনোজ পান্ডে। ১১১ গোর্খা রাইফেলের এই বীর জওয়ান তাঁর বীরত্বের জন্য পরমবীর চক্র পান। যুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাকসর সেক্টরের বজরং পোস্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সেনা কর্তা মেজর সৌরভ কালিয়া পোস্টের টহল দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। এমন সময় কিছু পাকিস্তানি সেনা তাকে ঘেরাও করে টানা ২৪ দিন বন্দি করে রাখেন, করা হয় শারীরিক নির্যাতন। এরপর ভারত সরকারের হাতে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ তুলে দেন পাকিস্তান। এছাড়াও ভারতীয় সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট অফিসার বলওয়ান সিং তাঁর সাহসিকতার জন্য মহাবীর চক্র পান।




Back to top button