দুয়ারে ‘মা লক্ষী’! নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিলি করলেন লক্ষীর ভাণ্ডারের ফর্ম!
ওয়েব ডেস্ক: ‘দুয়ারে সরকারে’ হাজির খোদ মা লক্ষী। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিলি করলেন করলেন মমতার সাধের প্রকল্প ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম। এমনকী সেই ফর্ম জমাও নিলেন তিনি। আজ দেখে রীতিমতো তাজ্জব সকলেই।
ঘটনস্থল বিধাননগর পুর নিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সল্টলেক দত্তাবাদ এলাকা। সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। আর সেই ক্যাম্পে এক তরুণীকে মা লক্ষ্মী সাজিয়ে বসানো হয়েছে। মা লক্ষ্মীর মতোই বসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি করছেন তিনি। ফর্ম জমাও নিচ্ছেন তিনি। এমনকী ফর্ম জমা নেওয়ার পর হাত তুলে আশীর্বাদও করছেন তিনি। দত্তাবাদ এলাকার তৃণমূল কর্মীদের এহেন কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। খবর চাউর হতেই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে আসা মানুষজনই নয়, লক্ষ্মীকে একবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। একই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধাত্রীগ্রামের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও।
লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রচারের জন্য মানুষের কাছে সরাসরি লক্ষ্মীরূপী মডেলকে হাজির করার অভিনব ভাবনা ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে নেট দুনিয়ায়। তবে কার মাথায় প্রথম এল এই ভাবনা ? জানা গিয়েছে, বিধাননগর পুর নিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর নির্মল দত্তের মস্তিস্কপ্রসূত এই ভাবনা। এই বিষয়ে উচ্ছ্বাসিত হয়ে নির্মল দত্ত বলেন, ‘ঘরের লক্ষ্মীরা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন। তাই ঘরের লক্ষ্মীদের আশীর্বাদ করছেন ‘স্বয়ং’ মা লক্ষ্মী। যাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয় এবং সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।’
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতো গত ১৬ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন গ্রহণের কাজ। ইতিমধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই প্রকল্প। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলি থেকেই পাওয়া যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লম্বা লাইন চোখে পড়ার মতন। একই সঙ্গে লক্ষীর ভাণ্ডারের ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার ছবিও দেখা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। করোনা বিধি শিকেয় তুলে মানুষের লম্বা লাইন, ক্যাম্পে প্রবেশের জন্য চূড়ান্ত হুড়োহুড়ি, এমনকি পদপিষ্ঠ হয়ে গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যে। তাছাড়া এই প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।