MADHYAPRADESH UPDATE – “মহুয়া”-র গন্ধে ‘ম-ম’ মধ্যপ্রদেশ, ‘হেরিটেজ’ তকমা দিল রাজ্য
মধ্যপ্রদেশে “ঐতিহ্যগত মদ” (Cultural Hard Drinks) হিসাবে বেচাকেনা শুরু হচ্ছে “মহুয়া” (Mahua)-র। সোমবারই ঘোষণা করে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। শনিবার থেকেই মধ্যপ্রদেশে নব আবগারি নীতিতে বৈধ করে দেওয়া হয় “মহুয়া”। আবগরি দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়, “এবার থেকে মহুয়া দিয়ে মদ তৈরি করা হলে তা আর বেআইনি (Illegal) বলে গণ্য হবে না। বরং ঐ রাজ্যের ঐতিহ্যবহন করবে এই বিশেষ পানীয়।”
গত সোমবার মন্ডলায় জনজাতীয় গৌরব দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “সরকারের তরফে নতুন আবগারি নীতি তৈরি হয়েছে। সেই নীতি অনুযায়ী যদি দেখা যায় ঐতিহ্যগত রীতি মেনে মহুয়া দিয়ে মদ তৈরি করে হচ্ছে, তাহলে সেই মদ এবার থেকে আর বেআইনি বলে গণ্য হবে না। খোলা বাজারে নির্দিষ্ট দোকান থেকেই তা বেচাকেনা করা যাবে। এই মদ বিক্রি হবে ‘হেরিটেজ’ মদের পরিচয়ে। এর ফলে স্থানীয় আদিবাসীদের কাছে কর্মসংস্থান ও আয়ের একটি নতুন রাস্তাও খুলে যাবে।”
চৌহান আরো বলেন যে এই নীতির মধ্যে দিয়ে রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুবিধার্থে মহুয়া থেকে পানীয় তৈরির আইনি ছাড় পাবেন আদিবাসীরা। মুখ্যমন্ত্রীর জানান, “যদি তারা চান তাহলে দালাল মারফত নয়, নিজেরাই এই পানীয় তৈরী করে সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন। সেই ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করার জন্যই এই নতুন আইন তৈরি করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।” যদিও মধ্যপ্রদেশের শাসকদল বিজেপি সরকারের এই আইনের বিরোধীতা করে তীব্র সমালোচনামূলক নিন্দা করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফ থেকে মহুয়া মদকে ‘হেরিটেজ’ তকমা দেওয়ার পদক্ষেপকে শাসক দলের ‘নীতিগত অবক্ষয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের মুখপাত্র, কে.কে.মিশ্র (K.K.Mishra) বলেছেন যে, “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সরকার ‘কাচ্চি শরাব’কে বৈধ করতে চলেছে।”
আরও পড়ুন……..Joker Virus Back- এই ভাইরাস ফোনে ঢুকে গেলেই জেনে যাবে সব ভিতরের কথা, একদম যেন পেগাসাস
কিন্তু মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী সরকারের এই পদক্ষেপের অন্যতম উদ্দেশ্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান ও আয় সুনিশ্চিত করা। কারণ এই পদক্ষেপের সাহায্যে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ মহুয়া থেকে পানীয় তৈরির আইনি ছাড়ও পাবেন। এমনকী আদিবাসীরা এই পানীয় সরাসরি বিক্রিও করতে পারবেন, সে ভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই নতুন আইন।