জন্মদিনের পরদিনই মৃত্যু! ২২ বছরের এই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে স্তম্ভিত গোটা টলিউড

অনীশ দে, কলকাতা: গত বছর সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার কথা সবারই মনে রয়েছে। এই খবর সামনে আসা মাত্রই সারা দেশ জুড়ে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। সুশান্ত ছাড়াও অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। সম্প্রতি মারা যান মালায়ালাম মডেল তথা অভিনেত্রী সাহানা (Sahana)। শুক্রবার কেরলের কাঝিকোরে নিজের বাড়িতে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ মেলে (Sahana death)। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা মনে হলেও মৃতার পরিবার মনে করছে, সাহানাকে খুন করা হয়েছে (Sahana death)।

sahana 3

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কাজের জন্য কাঝিকোরে থাকতেন এই দক্ষিণী মডেল। শুক্রবার তার বাড়িতে সাহানার মৃত দেহ পাওয়া যায়। এরপর তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অবশ্য সাহানার (Sahana) বাড়ির লোকেরা তার স্বামীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। গত বৃহস্পতিবার সাহানার জন্মদিন ছিল। এই বছর ২২ এ পা দিয়েছিলেন তিনি (Sahana)। কিন্তু জন্মদিনের ঠিক পরের দিনই এই দুঃসংবাদ আসবে, তা কেউ আশা করেনি (Sahana death)।

sahana 4

সাহানার বাড়ির লোকেরা দাবি করেছেন সাহানার স্বামী সাজ্জাদ তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তারা জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই অশান্তি চলছিল দুজনের মধ্যে। এমনকি সাহানাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত সাজ্জাদ। এছাড়াও মদের নেশায় ছিল সাজ্জাদের, প্রায়শই নেশা করে সাহানাকে বেধড়ক মারতেন সাজ্জাদ। বিয়ের প্রথমদিকে সব ঠিকই ছিল। সাজ্জাদ তখন কাতারে কাজ করতেন। কিন্তু সাহানার সিনেমা জগতে প্রবেশের পরেই দেশে ফিরে আসে সাজ্জাদ।

sahana 5

ফিরে এসে কোনো কাজ পায়না দে। নিজের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করতেন। স্ত্রীয়ের থেকে টাকা নিয়ে করতেন মদ্যপান। আর শুধু তাই নয়, যেদিন সাহানা টাকা দিতেন না সেদিন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন সাজ্জাদ। সাহানার মা এও জানান যে বারংবার তাদের মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তাদের জামাই (Sahana death)। বৃহষ্পতিবার অর্থাৎ সাহানার জন্মদিনের দিন কথা হয় তার মায়ের সাথে। সাহানার বাবা মায়ের পরের দিন তার বাড়িতে আসার কথা ছিল (Sahana death)। কিন্তু দেখা হল না আর।
আরও পড়ুন:ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফিরছে মির্জাপুর ৩! সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল গুড্ডু ভাইয়া ওরফে আলি ফজলের পোস্ট
সাহানার বাবা মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেছে। কিন্তু সাজ্জাদের দাবি সে নাকি কিছু জানেই না। সাজ্জাদ জানায় ঘটনার দিন সকালবেলা বাথরুমে এসে নিজের স্ত্রীয়ের লাশ দেখে। এর পিছনে তার কোনো হাত নেই। সাজ্জাদ সত্যি বলছে না মিথ্যে তা আসন্ন সময়ই বলবে, কিন্তু ২২ বছরের একটা প্রানের এইভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সাহানার মা বাবা।




Leave a Reply

Back to top button