Nagaland Firing: সেনার গুলিতে প্রাণপাত ১২ নিরাপরাধ গ্রামবাসীর, নেপথ্যে কী রাজনৈতিক রহস্য

ঠাঁই ঠাঁই গুলির শব্দ(Nagaland shootout)। ভুল বশত জঙ্গি ভেবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল একাধিক গ্রামবাসীর। রাতে মন জেলার ওটিং গ্রামে সন্ত্রাস দমন অভিযান চালাচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অভিযোগ, সে সময় স্থানীয় জঙ্গি সংঠন এনএসসিএন-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিরীহ সাধারণ নাগরিকদের উপর গুলি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মন জেলার ঘটনা এটি। এ ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও (Neiphiu Rio)। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মন জেলার ওটিং-এ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে। অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সিট গঠন করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে, আইন মেনে বিচার হবে। প্রত্যেকের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।’
রিপোর্ট বলছে, ওটিং গ্রামের একদল সাধারণ মানুষ একটি পিক-আপ মিনি ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিল। যখন নিরাপত্তাবাহিনীর গুলি চালায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের খুঁজতে গিয়েছিলেন। তাঁরা বেশ কয়েক ঘণ্টা ফিরে না আসায় পরে ট্রাকে তাদের লাশ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রবিবার সকালেই টুইটে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে তদন্ত করবে। বিচার পাবে মৃতদের পরিবার। একটি সরকারি বিবৃতিতে আসাম রাইফেলস বলেছে, “সন্ত্রাস দমনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনায় টিউ-ওটিং রোডে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এলাকায় একটি নির্দিষ্ট অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।” এছাড়াও বলা হয়েছে, “ঘটনা এবং এর পরের ঘটনা গভীরভাবে দুঃখিত। প্রাণহানির কারণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আসাম রাইফেলসের বিবৃতি অনুসারে, এই ঘটনায় একজন সেনা মারা গেছে এবং কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।
এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি নাগাল্যান্ডের এই মন এলাকা। মনে করা হচ্ছে, ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়েই অভিযান চালাতে গিয়েছিল সেনাবাহিনী, সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। সামনেই নাগাল্যান্ডের হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল। আর সেই উৎসবে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে উপস্থিত হয়েছেন অনেক কূটনীতিক। তার মধ্যেই এই ঘটনা রাজ্য সরকারের জন্য বেশ অস্বস্তিকর।