National Teacher Award 2021: শিক্ষক দিবসে কাদের সম্মানিত করবেন রাষ্ট্রপতি, জানুন ৪৪ সেরা শিক্ষকের নাম
কোভিড মহামারীর ভয়াবহ সময়ে অনলাইন ব্যবস্থার মধ্যে ঢুকে পড়েছে প্রায় সব ক্ষেত্রই। একইভাবে শিক্ষাব্যবস্থাও চলছে অনলাইনে। যদিও সেক্ষেত্রে ‘ডিজিট্যাল ডিভাইড’ সহ অন্যান্য বেশ কিছু কারণে পিছিয়ে পড়ছে না তো দেশের আগামী প্রজন্ম? প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই।
অনলাইন বা অফলাইন, শিক্ষাব্যবস্থায় নবপ্রজন্মকে গড়ার জন্য দিনরাত এক করে দেন দেশের শিক্ষকশিক্ষিকারা। সেরার সেরা এই গুরুদের অভ্যর্থনা জানান স্বয়ং রাষ্ট্রপতি। এ বছর শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ সম্মান জানাবেন এমনই ৪৪ শিক্ষককে, যাঁরা অভিনব শিখন পদ্ধতির কারণে হয়ে উঠেছেন অনন্য। গত বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে এই শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রকের তালিকায় রয়েছেন দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন হরিয়ানার মমতা পালিওয়াল, হিমাচল প্রদেশের কমল কিশোর শর্মা, পাঞ্জাবের জগতর সিং, দিল্লির বিপিন কুমার তালিকায় রয়েছেন বিহারের হরিদাস শর্মা ও চন্দনা দত্ত, উড়িষ্যার অশোক কুমার সৎপথি ও অজিত কুমার সেট্টি, গুজরাটের ভনিতা দয়াভাই রাঠোর ও অশোক কুমার মোহনলাল পার্মার, রাজস্থানের দীপক জোশি ও জয়সিং। নাম রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সঞ্জীব কুমার শর্মা এবং মধ্যপ্রদেশের শক্তি প্যাটেল। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের তালিকায় রয়েছেন বাংলার এক শিক্ষক। স্বভাবতই সোশ্যাল মাধ্যমে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে এই বাঙালি শিক্ষককে ঘিরে।
পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার শোভানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস নির্বাচিত হয়েছেন রাষ্ট্রপতির জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারের জন্য। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকাশ ভবনের ফোনে জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা প্রাপ্তির কথা জানতে পারেন বাংলার শিক্ষক। প্লাস্টিকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা নিজের মতো করে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দেন মালদার শিক্ষক। বাড়ির প্লাস্টিকের বোতল স্কুলে জমা দিলে স্কুল ফি কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন হরিস্বামীবাবু। অভিভাবক ও সকল শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি হয় ‘টিম শোভানগর’। এই দল এখনও কাজ করে চলেছে একইভাবে।
জানা যাচ্ছে, হরিস্বামীবাবুর নির্দেশিত পথ অবলম্বন করে ডুয়ার্সের ২৬টি স্কুল প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। কোভিড আবহে পড়ুয়াদের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রাখার জন্য ‘হাইব্রিড লার্নিং’ চালু করার চেষ্টা করছেন হরিস্বামীবাবু। এর পাশাপাশি সমস্ত পাঠ্য বইয়ের কিউ আর কোড স্কুলের ওয়েবসাইটে দিয়েছেন মালদার শিক্ষক। ফলত বই না কিনেও পড়াশোনা চালাতে পারবে পড়ুয়ারা।
হরিস্বামীবাবুর মতে, “আমার স্কুল গঙ্গা ভাঙন এলাকায়। আগে যে স্কুল গঙ্গা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল, সেই ব্যবধান এখন মাত্র দেড় কিলোমিটার। আমাদের স্কুল পড়ুয়াদের প্রায় ৭০% গঙ্গা ভাঙনের শিকার। স্কুলটাই এখন তাদের একমাত্র আশা-ভরসার জায়গা।”