omicron: করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী, কিন্তু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নয়া স্ট্রেন
অরুণিমা সরকার, কলকাতা- ২০২০ সাল থেকে মারণ করোনা ভাইরাস (corona virus) আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনজীবনে, কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। এই ভাইরাসের প্রকোপে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা, দেশের অর্থনীতিতেও এই ক্ষতির পরিমাণ প্রবল। স্কুল (school), কলেজ(college) অফিস (office), আদালত (court) ইত্যাদি সমস্ত কিছু এতদিন বন্ধ থাকার পর, সদ্য সেগুলো খুলেছে। প্রথমে ৪৫ বছরের উর্দ্ধে এবং তারপর ১৮ বছরের উর্দ্ধে যারা রয়েছে তাদের ডবল ভ্যাক্সিনেশন (double vaccination) করানোর পেছনে সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছিলো।
গত শনিবার আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra modi) একটি বৈঠক ডাকেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিশ্র, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভিকে পাল সহ আরও কয়েকজন। এই বৈঠকে কোভিডের নতুন স্ট্রেনটি নিয়ে আলোচনা করা হয়, যেটির সদ্য সন্ধান মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। স্ট্রেনটির আসল নাম B.1.1.529 হলেও, এর নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন (Omicron)।
নতুন পাওয়া এই স্ট্রেনটি ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে হু (WHO) অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (World Health Organization)। তাদের মতে করোনার ভাইরাসের এই স্ট্রেনটি আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। করোনা ভাইরাস বারে বারে রূপ বদলে নিত্য নতুন অবতারে ফিরে আসছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বেলজিয়ামেও এই স্ট্রেনটি খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন…….New Variant of corona virus – সংক্রমণ রুখতে ঢাল স্বাস্থ্যমহল, রাজ্যবাসীকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
ভারতও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে যে মুম্বাই বিমানবন্দরে অবতরণ করা সমস্ত যাত্রীদের কিছুদিন কোয়ারেন্টাইনে (quarantine) রাখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে একটু কমলেও রোজ আক্রান্ত হচ্ছে বহু সংখ্যক মানুষ। স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য সূত্র অনুযায়ী গত চব্বিশ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০১ জন, যা শুক্রবারের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। প্রতিদিনের সংক্রমণের নিরিখে রাজ্য প্রথম স্থানে আছে কলকাতা (দৈনিক ২১৪ জন), উত্তর ২৪ পরগণা (১২৪ জন), হুগলি (৬০ জন)।
রাজ্যে রোজ করোনা মৃতের সংখ্যা ১১ জন। শনিবার রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫২ জন।কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৮২ জন। অর্থাৎ সুস্থতার হার শতাংশের হিসেবে ৯৮.৩১। করোনা মোকাবিলায় এখন টিকাকরণ বেশী জোর দেওয়া হচ্ছে। কোভিড গ্রাফ এখন ক্রমশ নিম্নমুখী, করোনা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এখান সামান্য কোনো উদাসীনতাও ডেকে আনতে পারে বড়ো বিপদ।