omicron: এ যেন এক বাঘবন্দি খেলা, ওমিক্রনের মাঝেই চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: ২০১৯ সাল। বছরটা প্রায় শেষের দিকেই ছিল। হঠাৎই এক অজানা আতঙ্কে পাল্টে গেল গোটা পৃথিবী। সুন্দর গোছালো পৃথিবীটা হঠাৎ কেমন অগোছালো হয়ে গেল। সেই আতঙ্কেরই নাম কোভিড ১৯, করোনা ভাইরাস । বন্ধ হলো বাড়ির বাইরে বেরোনো। বন্ধ হলো অফিস, স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বাজার, দোকান লোকের কর্মসংস্থান। সবার মুখেই উঠল মাস্ক। মানুষ হারাল তার কাছের মানুষদের । প্রায় এক বছর পর মানুষ বেরোতে পারল বাড়ি থেকে তবে না সেই আগের মত প্রাণ খুলে নিশ্বাস নেয়া, না সবার সাথে মেশা কোনোটাই আর আগের মত ছিল না। তারও এক বছর পর মানুষকে স্বস্তির দিয়ে আসলো ভ্যাকসিন। খুলল অফিস, স্কুল, কলেজ। তবে আতঙ্ক কাটেনি এখনও।
সব কিছুই যখন আবার একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছিল তখনই আবার বেড়িয়ে আসল ভাইরাসের এক নতুন রুপ। করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। এই ভাইরাসে দেশি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে ৭৮১। বুধবারই আক্রান্ত সংখ্যা ১৩৫। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কম বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। ছোট থেকে বড় কাউকেই ছাড়ছে না এই ভাইরাস। এরই মধ্যে দেশের ৫ রাজ্যের ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশন। তামিলনাড়ু ৫৫ হাজার ৬১৬টি এবং কেরলের ২১ হাজার বুথে নির্বাচনের তারিখ ১৬ মে। পুদুচেরি ৬ মে , আসামের ২ দফার নির্বাচন ৪ এপ্রিল এবং ১১ এপ্রিল , পশ্চিমবঙ্গের ৬ দফায় নির্বাচনের কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন……..Omicron Update: ওমিক্রন দাবানলের মধ্যেই টান পড়লো টিকার ভাঁড়ারে
স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগে চলছে নানা রকম র্যালি, সভা, বৈঠক। জমছে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক, নেই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং । বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে আক্রান্ত এর মধ্যে ৫০ % আক্রান্ত হয়েছে দিল্লি এবং মুম্বাইতে। বুধবার ২ রাজ্য থেকেই শোনা গেছে একজনের মৃত্যুর খবর। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে একটি পদক্ষেপ। গত সোমবার ২৭ ডিসেম্বর থেকে দিল্লিতে চালু হয়েছে নাইট কারফিউ। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ। একইসাথে কর্নাটকে মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রাত ১০ থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে বলে জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার কমল পান্ত। তবে মহারাষ্ট্রে অমিক্রণের বাড়ন্ত