Omicron Update: ওমিক্রন দাবানলের মধ্যেই টান পড়লো টিকার ভাঁড়ারে

অহেলিকা দও, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের (corona virus) তৃতীয় স্টেজ(3rd stage) ওমিক্রনের(omicron) প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষনে বলেছেন, ‘আতঙ্কিত(Panicked) হবেন না’। এছাড়াও তিনি বলেছেন মাস্ক(mask)ব্যবহার করতে এবং সকলকে সতর্ক(careful) থাকতে। আগামীকাল তিনি ফের ঘোষণা(announcement) করেছেন, নতুন বছরে ১৫ বছর বয়স থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত টিকাদান(vaccination) করা হবে। এছাড়াও ১০ জানুয়ারী থেকে বয়স্কদের(elderly) এবং ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের (Frontline health workers) পুনরায় টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ হয়ে যাবে, দ্বিতীয় ডোজ?

সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গেছে, রিপ্রোডাকশন(reproduction) আর(R) নাম্বারের মান এক একটি দেশে ১ এর বেশি অতিক্রম করেছে, অর্থাৎ যা সীমা অতিক্রম করে দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। আগে ওমিক্রনের প্রভাব বেশি না থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে যোগ্য প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার সিকিভাগদের সম্পূর্ণরূপে বুস্টার ডোজগুলি(booster dose) দেওয়া শুরু হয়নি। ভারতে এখনও পর্যন্ত জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে যার ৯০ শতাংশেরও বেশি অন্তত একটি ডোজ পেয়েছে৷ তাহলে দ্বিতীয় ডোজ?

ওমিক্রন আক্রান্তদের সংখ্যা,টিকা কত পরিমাণ দরকার?,আজকের খবর,নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা,কত বয়সের মানুষদের টিকার প্রয়োজন?,দেশে ওমিক্রনের পরিমাণ,দিল্লীতে ওমিক্রনের পরিমাণ,মুম্বইয়ে ওমিক্রনের পরিমাণ,Number of Omicron victims,How much vaccine is needed ?,Today's News,Narendra Modi's announcement,How old people need vaccine ?,Amicron in the country,Amicron in Delhi,Amicron in Mumbai

একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, টিকা গ্রহণ করার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আট থেকে নয় মাস ব্যবধানে কমে যায়। তাই গুরুতর রোগ এবং সর্বপরি মৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য নতুন করে টিকা নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এপ্রিলের আগে যাদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ পাবার কথা ছিল, তাদের ৪০% দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসেবাকর্মী এবং বয়স্ক নাগরিকগন টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ?

এক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। প্রধানত দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং কর্ণাটক। এছাড়াও চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এবং পুনের মতো বড় শহরগুলিতেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিকাল সায়েন্সের গবেষকদের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, রিপ্রোডাকশন(reproduction) আর(R) নাম্বারের মান গড় সংখ্যার অনুমান অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে এখন ১ জনের বেশি সংক্রমিত। প্রধান গবেষক সীতাভ্র সিনহার মতে, দিল্লিতে কয়েক দিন আগে সেই সংখ্যা ১ জনের বেশি অতিক্রম করেছে এবং এখন বেঙ্গালুরু এবং কলকাতারও একই অবস্থা। কিন্তু সারা ভারতে আর(R) এর মান এখনও ১ এর কম। কিন্তু রেখাচিত্রে কয়েক ইঞ্চি বাড়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। বিবেচনা করে জানা গেছে, দেশে ৬০০ টিরও বেশি ওমিক্রন সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির থেকে স্পষ্ট ওমিক্রন আরও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি সম্পূর্ণ টিকা নেওয়া বয়স্কদের বা শিশুদেরও সংক্রামিত করেতে পারে।

ওমিক্রন আক্রান্তদের সংখ্যা,টিকা কত পরিমাণ দরকার?,আজকের খবর,নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা,কত বয়সের মানুষদের টিকার প্রয়োজন?,দেশে ওমিক্রনের পরিমাণ,দিল্লীতে ওমিক্রনের পরিমাণ,মুম্বইয়ে ওমিক্রনের পরিমাণ,Number of Omicron victims,How much vaccine is needed ?,Today's News,Narendra Modi's announcement,How old people need vaccine ?,Amicron in the country,Amicron in Delhi,Amicron in Mumbai

গত চার দিন ধরে যুক্তরাজ্যে করোনার রিপোর্ট, শনিবার ১.৭ লাখ কেস সনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক কেসের সংখ্যা কখনোই ১ লাখের কাছাকাছিও আসেনি। স্পেন এবং ফ্রান্স সহ এই অঞ্চলের আরও কয়েকটি দেশ রেকর্ডেও উচ্চ মানের কেসের সংখ্যা সনাক্ত করছে। ভারত জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পরতে পারে। অর্থাৎ ওমিক্রনের বৃদ্ধি হতে পারে। ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ এই বৃদ্ধি রোধ করতে সামান্য কিছু করতে পারে। তবে ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণ করলে এটি হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধে সক্ষম হতে পারে।

আরও পড়ুন…….Omicron update: বাংলায় এবার ওমিক্রনের থাবা! আক্রান্ত সাত বছরের শিশু

ইউরোপের ডেটা দেখায় যে ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত হওয়া লোকদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা নিম্ন বয়সী যাদের টিকা দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, স্পেন বা ইতালির মতো কিছু দেশে অল্পবয়সী লোকেদের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের হার প্রায় দ্বিগুণ। ভারতেরও ঠিক একই অবস্থা। তাই যেহেতু ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সদের টিকা দেওয়া হয়নি তাই ৩ জানুয়ারি থেকে তাদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রশ্ন এখনও একই সরকার এই বিপুল পরিমান দ্বিতীয় ডোজ দিতে কি সক্ষম হবে? নাকি সবটাই ফের সংখ্যার খেলায় এসে দাঁড়াবে?




Back to top button