Big Breaking: ৬ দিনের মাথায় হারাল পার্থর মন্ত্রীত্ব! বহাল থাকবে কি মহাসচিবের পদ?

এই মুহূর্তে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খবর। গ্রেফতারে ছয় দিন পর মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আজ সকালেই মন্ত্রীপরিষদের আলোচনা হয়। সেখানেই শিক্ষক দুর্নীতি মামলার অভিযোগে সরানোর সিদ্ধান্ত হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। শিল্প, পরিষদীয় ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল পার্থকে।আদেশনামা প্রকাশ করে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, এই সব দফতরগুলি এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখবেন। ফলে মমতার হাতে থাকল স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, ত্রাণ-উদ্বাস্ত পুনর্বাসন, তথ্যপ্রযুক্তি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, পরিকল্পনা রূপায়ন, শিল্প বাণিজ্য, পরিষদীয় দফতর এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতর।
বিগত কয়েক দিন ধরে ইডি হানায় কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। গতকাল অর্পিতা বন্দোপাধ্যায়ের বেলঘড়িয়ার আবাসন থেকে আঠাশ কোটি টাকা, সোনার পাত ও গহনা উদ্ধার করা হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাত ভোর জেরা করে ইডি। অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের নথি পত্র। এখানেই শেষ নয়। একাধিক প্রমাণ দেয় ইডি। বর্তমানে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক দুর্নীতির সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্পষ্ট যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল তৃণমূল। প্রথমবার তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আড়াল করতে। কিন্তু জনগনের কাছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি বিপর্যয় ঘটছিল।
তবে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল তৃণমূলের দলীয় নেতাদের। এদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ কালকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি জানান, অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। এই মুহূর্তে উচিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করা। দলের একজনের কালি কেন বাকিরা বইবে? আজকে ট্যুইট করেও তিনি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল অপসারিত না করলে তিনিও ইস্তফা দেবেন। অবশেষে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠছিল তাকে প্রশমিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। এমনকী তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে চাকরি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনো সুরাহা করে কিনা সেটাই লক্ষ্য।