মোদীর হাতে শুরু হয়ে গেল ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন, কী ভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন জেনে নিন
বড় ঘোষণা কেন্দ্র তরফে। সোমবার অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকেই দেশ জুড়ে সূচনা প্রধানমন্ত্রী আয়ুস্মান ভারত ডিজিটাল হেলথ মিশনের। বৃহস্পতিবারই একথা নিজের টুইট মাধ্যমে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য। দীর্ঘদিন পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল জুড়ে এই মিশনের কাজ চলছিল। আজ সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশজুড়ে নয়া ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন(National Digital Health Mission)-এর মাধ্যমে প্রত্যেক ভারতীয়কে ইউনিক ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ড দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
দেশ ও দেশবাসীর দিন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশ ও দেশবাসীর জন্য আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালি করতেই এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষা শেষে নয়া এক পর্যায়ে প্রবেশ করলো ভারত। এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, এই মিশনের মদ্ধমে হাসপাতালের সমস্ত রেকর্ড পেতে সুবিধা হবে। তাঁর মতে, হটাৎ করে হাসপাতালে যাওয়ার সময় মানুষের সঙ্গে মেডিক্যাল রিপোর্ট থাকে না।
সুরক্ষিত থাকবে মেডিক্যাল রেকর্ড
মেডিক্যাল রিপোর্ট না থাকার দরুন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পাশপাশি করতে হয় একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আর সেই কারণে সাধারণ মানুষের খরচ বৃদ্ধি পায় অনেকটা। বাড়ে ঝঞ্ঝাট। আয়ুস্মান ভারত ডিজিটাল মিশন এই ক্ষেত্রেই সাহায্য করবে সাধারণ মানুষকে। এমনটাই জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রকল্প দ্বারা প্রত্যেক দেশবাসীকে একটি ডিজিটাল হেলথ আইডি দেওয়া হবে। যেখানে সমস্ত নাগরিকের মেডিক্যাল রেকর্ড সুরক্ষিত থাকবে। প্রয়োজন পড়লেই চিকিৎসক এটি দেখতে পারবনে।
কীভাবেই বা বানাবেন এই কার্ড?
এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এই ব্যবস্থায় আধার কার্ডের মতো একটি হেলথ আইডি সম্বলিত একটি কার্ড থাকবে প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে। এই কার্ডের মাধ্যমেই জানা যাবে কোনো ব্যাক্তি আয়ুস্মান ভারতের অধীনে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন কিনা। সরকারি পর্যায়ে কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে এই কার্ডের ভিত্তিতে করা হবে। আধার কার্ডের মতোই সরকার গঠিত হেলথ অথরিটির অধীনেই পুরো বিষয়টি থাকবে।
কোন কোন রাজ্যে শুরু পাইলট প্রোজেক্ট?
এদিকে এর আগে আন্দামান-নিকোবর, চণ্ডীগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ, লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরিতে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কোনও ব্যাক্তি https://healthid.ndhm.gov.in/register -এ গিয়ে নিজের রেকর্ড নথিভুক্ত করে স্বাস্থ্য আইডি তৈরি করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।