Prashant Kishor- “গণতান্ত্রিক পদ্ধতি”-র প্রয়োগ চাই বিরোধী জোটের নেতা নির্বাচনে, ময়দানে পিকে

বাংলায় মমতা থেকে এবার লক্ষ্য দেশে মমতা(Mamata Banerjee)। বাংলার রাজনীতির(Politics) ময়দান ছেড়ে তৃণমূলের লক্ষ্য এখন জাতীয় রাজনীতি। সেই মতোই ২০২৪ লোকসভা(Lok Sabha) ভোটকে(Election) পাখির চোখ করে ফেলেছে ঘাসফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে দেশের সর্ববৃহৎ বিরোধী জোটের জায়গা পেতে সকল বিরোধী শিবিরকে এক ঘাটে জল খাওয়া ব্যস্ত তৃণমূল(Trinomool) সুপ্রিমো। এমতাবস্থায় বিরোধী জোটের নেতৃত্ব বেশ রাজনৈতিক চাপানউতোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। গত কয়েকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানাভাবেই কংগ্রেসের সমালোচনা করে চলেছে। এদিন মুম্বাইতে(Mumbai) দাঁড়িয়েও মমতা বলেছেন, “বিজেপির(BJP) বিরুদ্ধে লড়াই ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস।” এমনকি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আদৌ অস্তিত্ব আছে কি না সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আবার মমতার এই অবস্থানের কারণে একটি প্রশ্ন রাজনীতির ময়দানে বারংবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তা হল, দেশীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কি বিরোধী জোট সম্ভব? এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর(Prashant Kishor)।তিনি জানিয়েছেন, “কংগ্রেস যে ভাবনা এবং অংশের প্রতিনিধিত্ব করে তা শক্তিশালী বিরোধীদের জন্য অত্যাবশ্যক। কিন্তু কংগ্রেসের নেতৃত্ব একজন ব্যাক্তির ঐশ্বরিক অধিকার নয়, বিশেষ করে যখন দলটি ১০ বছরে ৯০ শতাংশের বেশি নির্বাচনে হেরে গেছে।” এদিন তিনি আরও বলেন, ” গণতান্ত্রিকভাবে বিরোধী নেতৃত্বের সিধান্ত নেওয়া হোক।” এর মাধ্যমে প্রশান্ত কিশোর বুঝিয়ে দেন, কংগ্রেস জোর করে বিরোধী জোটের উপর রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)কে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইদানিংকালে যেভাবে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন তার নেপথ্যে যে প্রশান্ত কিশোরের হস্তক্ষেপ রয়েছে এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ জল্পনা। আর এদিনের টুইটের পর সেই ধারণা আরও শক্ত পোক্ত হল বলেই মনে করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল প্রশান্ত যখন টুইটটি করেছেন, তখন রাহুল গান্ধী এই দেশে নেই। কোনো ব্যাক্তিগত কাজে তিনি বিদেশে গেছেন। সংসদের এই অধিবেশনের মধ্যে রাহুলের বিদেশ গমন যে রাজনীতির ময়দানে ফের তাঁর দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তবে লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, প্রথম কথা প্রশান্ত কিশোর রাজনীতিক নন। তিনি সেলসম্যান নন। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। গত দশ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের মতো একটি আঞ্চলিক দল শুধু নিজের রাজ্যে জিতেছে। কিন্তু লোকসভা ভোটে আরও ২০টা ভোটে হেরেওছে।

আরও পড়ুন…..FIR against Mamata: জাতীয় সংগীতের অবমাননা, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ বিজেপি নেতার

তা ছাড়াও গত দশ বছরে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, ছত্তিসগড়ের মতো রাজ্যে জিতেওছে। আড়াইশোর বেশি আসনে বিজেপির প্রতিপক্ষ কংগ্রেসই। আর সার সত্যিকে অস্বীকার করার উপায় নেই। অধীর এদিনও বলেন, তৃণমূলই বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে বিরোধী জোট ভাঙার চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে আবার তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, ” কংগ্রেসের অস্তিত্ব কেউ অস্বীকার করেনি। কিন্তু কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব যে দুর্বল, তা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার উপযুক্ত নয়, সেটাই বারবার বলা হচ্ছে। কংগ্রেসকে বুঝতে হবে সমষ্টিগত ভাবে বিজেপি তথা উগ্র দক্ষিণপন্থী দলকে হারাতে গেলে নেতৃত্ব নিয়ে দাদাগিরি করা যাবে না।”




Back to top button