ধর্ষণে ভয় ধরাচ্ছে এই রাজ্যে, নারী নির্যাতনে কত নম্বরে বাংলা? উদ্বেগ এনসিআরবি-র রিপোর্টে

আদিম গুহাপর্ব ছাড়িয়ে মানুষ আজ আধুনিকতার শীর্ষে। কিন্তু এই শীর্ষে পৌঁছেও এক পাশবিক আদিম প্রবৃত্তিকে কিছু মানুষ আজও বহন করে চলেছে তা হল ধর্ষণ।

কিছুদিন আগেই মুম্বাইয়ের শাকিনাকা অঞ্চলে একজন ৩২ বছরে দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়।  দিন প্রতিদিন দেশ জুড়ে বেড়েই চলেছে এই ধরণের পাশবিক ঘটনা। এই প্রেক্ষাপটেই এনসিআরবি বা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে।

রিপোর্টের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে ভারতের রাজস্থানে ৫৩১০টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থাৎ, ধর্ষণ কান্ডে শীর্ষে রাজস্থান। অপরদিকে উত্তরপ্রদেশে ২৭৬৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, সেখানে একবছরে ২৩৩৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রে দায়ের করা হয়েছে ২০৬১টি মামলা।

ধর্ষণকান্ড,শীর্ষে রাজস্থান,এনসিআরবি রিপোর্ট,অপরাধ Rape case,Rajasthan in top of the list,NCRB report 2020

উল্লেখ্য, ৫৩১০টি মামলার মধ্যে ১২৭৯টি ১৮ বছরের নীচে এবং ৪০৩১টি প্রাপ্তবয়স্ক।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণকারী নয় পারিবারিক সূত্রে, নয় তো কোনো সহকর্মী বা অন্য কোনো মাধ্যমে পরিচিত ব্যাক্তি।

তবে ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় ২০২০ সালে এই সংখ্যা বেশ খানিকটা হ্রাস পায়। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৩২৬টি ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা অনেকটা হ্রাস পেয়ে নেমে যায় ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৫০৩-এ।

ধর্ষণকান্ড,শীর্ষে রাজস্থান,এনসিআরবি রিপোর্ট,অপরাধ Rape case,Rajasthan in top of the list,NCRB report 2020

বাংলার অবস্থান: এনসিআরবি রিপোর্টে উঠে এসেছে, দিন প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু নির্যাতনের সংখ্যা। এই তালিকায় বাংলার অবস্থান চতুর্থ স্থানে (১০,২৪৮টি মামলা), প্রথম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (১৭,০০৪টি মামলা), দ্বিতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ ও তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র।

এনসিআরবি তাঁদের রিপোর্টে জানিয়েছে, বিগত তিন বছরে বাংলায় শিশু নির্যাতনের সংখ্যা ৬৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। যা খুবই চিন্তাজনক।

২০১৮ সালে বাংলায় মোট শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছিল ৬,২৮৬টি, ২০১৯ সালে এই মামলার সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৬,১৯১টি, এরপর ২০২০ সাল পড়তে পড়তে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ছুঁয়ে ফেলে ১০ হাজারের গন্ডি।

 

 




Back to top button