উৎসবের আবহেই বড় নাশকতার জঙ্গি, জঙ্গি হানার আশঙ্কায় রাজ্যজুড়ে জারি রেড অ্যালার্ট
মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশে দিল্লি পুলিশের জালে পড়েছে একটি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি মডিউল। গ্রেফতার হয়েছে ছয় জঙ্গি। সামনে এসেছে ডি কোম্পানি-লস্কর-ই-তৈবা যোগ। এবার জঙ্গি আতঙ্ক ছড়াল পাঞ্জাবেও। জারি করা হয়েছে লাল সকর্কতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অগাস্টেই পাঞ্জাবে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতপুষ্ট একটি জঙ্গি মডিউলের খোঁজ মেলে। এই জঙ্গি মডিউলটিই দীর্ঘদিন থেকে রাজ্যে বড়সড় হামলার ছক কষছিল বলে জানা যায়। বর্তমানে এই দলেরই চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
ধৃত চার জঙ্গির নাম রাহুল সিং, ভিকি ভাট্টি, মালকিত সিং এবং গুরপ্রীত সিং। রাহুলকে মঙ্গলবার আম্বালা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকি তিনজনকে বুধবার তাদের গ্রামের আজনালায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর পঞ্চম সহযোগী গুরমুখ সিং ব্রারকে ২০ আগস্ট জলন্ধর থেকে কাপুরথলা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর কিছুদিন আগে পাঞ্জাবে আইইডি টিফিন বোমা দিয়ে তেলের ট্যাঙ্কার উড়িয়ে দেওয়ার পিছনেও হাত ছিল এই জঙ্গিদের। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে তাদের আরও বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের নাম রাহুল সিং, ভিকি ভাট্টি, মালকিত সিং এবং গুরপ্রীত সিং। রাহুলকে মঙ্গলবার আম্বালা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকি তিনজনকে বুধবার তাদের গ্রামের আজনালায় গ্রেফতার করা হয়। তাঁর পঞ্চম সহযোগী গুরমুখ সিং ব্রারকে ২০ আগস্ট জলন্ধর থেকে কাপুরথলা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।
এদিকে গত ৪০ দিনে এই মডিউলটি ছাড়াও আরো তিনটি আইএসআই মদতপুষ্ট জঙ্গি মডিউলের খোঁজ পেয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। আর তাতেই বেড়েছে আতঙ্ক। রাজ্যে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ইতিমধ্যেই পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। বিশেষ করে স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পাশাপাশি আসন্ন উৎসবের মরসুমের কথা ভেবে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
এদিকে বছর ঘুরলেই ভোট রয়েছে পাঁচ রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের মতো তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাবও। আর তার আগেই রাজ্যে রাজ্যে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা, এই বিষয়ে আগেই মিলেছিল গোয়ান্দা ইনপুট। এমতাবস্থায় এবার উত্তরপ্রদেশের পাঞ্জাবেও জঙ্গি ডেরার খোঁজ মেলায় বাড়ছে আতঙ্ক। বাজার এবং স্পর্শকাতর সমস্ত এলাকাতেই চলছে কড়া নজরদারি।