Sandhya Mukhopadhyay : সঙ্গীত জগতে বিষণ্ণতা, লতার পরে এবার সন্ধ্যা

গোটা দেশ আজ শোকাকুল। চিরঘুমের দেশে চলে গিয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ( Sandhya Mukhopadhyay)। আর কিছুদিন আগেই চলে গিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের কোকিলকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকর। সুরের আকাশে এহেন নক্ষত্রপতন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। নবতিপর গায়িকার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা তাঁর আরোগ্য কামনায় রত হয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে প্রবাদপ্রতীম শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিতি খানিক ভাল হওয়ায় স্বস্তিতেই ছিলেন অনুরাগীরা। তবে শেষ রক্ষা আর হল না।

Sandhya Mukhopadhyay

দুটি একই সময়ের কিংবদন্তী শিল্পী কিন্তু শেষ বয়েসে তাদের কথা হত টেলিফোনে। আসলে বয়সের শেষে হয়ত সব দন্ধ মিটে যায়। তাই হয়ত কোন বিলাসী জীবন না বেচেই তারা চলে যান ওই পাঁড়ে। দুজনেরই বয়স হয়েছিল নব্বই উর্ধ। কিন্তু তাদের শিল্পের বয়স শতাব্দী প্রাচীন।

Sandhya Mukhopadhyay
১৯২৯ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর মারাঠী, তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পারদর্শী। থিয়েটারও করতেন। আর মা সেবন্তী ছিলেন কোঙ্কনী গায়িকা। বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শৈশবে গানের প্রতি আনুরাগ্য তৈরি হয় লতার। চারের দশকে গায়িকা হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। তারপর পঞ্চাশ, ষাট-সত্তরেরর দশক থেকে নব্বইয়ের দশকেও চুটিয়ে প্লে-ব্যাক করেন লতা মঙ্গেশকর। বাংলা ভাষায় মোট ১৮৫টি গান গেয়েছেন তিনি। বাংলায় তাঁর গান গাওয়ার শুরু হেমন্ত কুমারের হাত ধরে। নিজে কখনও গাওয়া গানের রেকর্ড না রাখলেও, বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে হিসেব বলছে গোটা জীবনে ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন কিংবদন্তী এই গায়িকা।

আরও পড়ুন…..Sandhya Mukhopadhyay : মধু মালতীর ডাকে সাড়া সন্ধ্যার, পাড়ি না ফেরার দেশে

এদিকে ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ( Sandhya Mukhopadhyay)। তাঁর ( Sandhya Mukhopadhyay) সঙ্গীত শিক্ষার মূল কান্ডারী ছিলেন তাঁর দাদা রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। ১৯৪৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি ( Sandhya Mukhopadhyay)। কলম্বিয়া থেকে তাঁর প্রথম রেকর্ড করা গান গিরীন চক্রবর্তীর কথায় ও সুরে ‘তুমি ফিরায়ে দিয়াছ’ ও ‘তোমার আকাশে ঝিলমিল করে’। ১৯৪৮ সালে প্রথমবার রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গীত পরিচালনায় প্লেব্যাক করেন, ছবির নাম ‘অঞ্জনগড়’।




Leave a Reply

Back to top button