Supreme Court: এক রাতেই ঘর ছাড়া বস্তিবাসী, শুরু হবে ভাঙ্গন প্রক্রিয়া, নির্দেশ উচ্চ আদালতের

দিন প্রতিদিন শহরাঞ্চলে(City) উন্নতির সাথে সাথে পা মিলিয়ে বাড়ছে সরকারি জমি দখলদারি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর ধরে দেশে সরকারি জমিতে দখলদারির পরিমাণ বেড়েছে উত্তরোত্তর। এই পরিস্থিতি উচ্চ আদালতে(Supreme Court) দায়ের হয় একটি মামলা। তারই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, গুজরাট(Gujarat) ও হরিয়ানা(Haryana) ১২০০ বস্তি(Slums) যেন শীঘ্রই ভেঙে ফেলা হয়। ভারতীয় রেল(Indian Railway), রাজ্য সরকার(State Goverment) এবং সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। পাশপাশি, সরকারি প্রকল্পের আওতায় যোগ্য ব্যাক্তিদের বিকল্প আবাসন প্রদান না করা পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণের খরচও সমান ভাবে বহন করতে হবে সরকারকে।
উল্লেখ্য, সুরাত(Surat) এবং ফরিদাবাদে(Faridabad) অবস্থিত বস্তিগুলি(slums) রেলের জমিতে অবস্থিত ছিল। ২০১৮ সালে অনুমোদিত সুরাত-জলগাঁও রেললাইনের প্রকল্পের দরুন সুরাতের বস্তিটি ভাঙ্গা আবশ্যক হয়ে পড়ে। এরপরই সুরাত ও ফরিদাবাদ সংক্রান্ত মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। উভয়ক্ষেত্রেই দখল হওয়া জমি রেলওয়ের হওয়ার কারণে মামলাটি একত্রিত হয়ে পড়ে।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এমএন খানউইলকর, দীনেশ মহেশ্বরী এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ বলেন, “এটি(সরকারি জমি দখল) একটি দুঃখজনক গল্প যা বিগত ৭৫ ধরে চলে আসছে এবং এটি শেষ পর্যন্ত করদাতার অর্থের বিনিময়ে চলে।” আদালত আরও বলে, “এবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সক্রিয় হওয়ার সময় এসেছে। আমাদের সমস্ত বড় শহর বস্তিতে পরিণত হচ্ছে। যদি আপনারা (কর্পোরেশন) দখল হতে না দেন তবে সর্বত্র পরিকল্পিত উন্নয়ন হবে।
আদালত স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেয়, সরকারি জমির দখল প্রতিরোধ এবং সরকারি জমি রক্ষা করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ রূপে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি, আদলত আরও জানায়, এই দায়িত্ব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পাশপাশি রেল ও রাজ্য সরকারের কাঁধেও বর্তায়। এদিকে, সুরাত ও ফরিদাবাদে যে বস্তি ভাঙনের কাজ হবে, সেই প্রেক্ষিতে বস্তি বাসিন্দাদের আগামী ছয় মাসের জন্য দুই হাজার টাকা করে দিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ উচ্চ আদালতের।