মতবিরোধের জেরে পারিবারিক কলহ, নতুন সংগঠন ‘ছাত্র জনশক্তি পরিষদ’ গড়লেন তেজ প্রতাপ
লালুর অবর্তমানে দলের উত্তরসূরি হবে কে? এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই ঘুরছে রাজনৌতিক মহলে। যদিও গতবছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লালুর অবর্তমানে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কনিষ্ঠপুত্র তেজস্বী। তবে বয়সে বড় হওয়ার দরুণ, পার্টির লাগাম সামলানো উচিত তেজ প্রতাপকেই। তবে কি এই ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাতের জেরে ভাঙতে চলছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল! এই জল্পনাকে আরও একটু উস্কে দিলেন স্বয়ং তেজ প্রতাপ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি খুললেন ‘ ছাত্র জনশক্তি পরিষদ ‘ নামক এক নতুন সংগঠন। আরজেডির এক অংশ হিসেবেই কাজ করবে তার এই নতুন ছাত্র মোর্চা,জানালেন তেজ প্রতাপ। বিহার রাজ্যের বেকারত্ব, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যর মতো বিষয়গুলি নিয়েই সরব হবে তারা।
তেজ প্রতাপ জানিয়েছেন যে পিত লালু প্রসাদ যাদবের আশীর্বাদেই পথ চলা শুরু তার এই নতুন সংগঠনের। পার্টির দায়িত্বভার সামলানোর সুবাদে সম্পর্ক বিগড়েছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। গত বিধানসভা নির্বাচনে লালুর জুতোয় পা রেখে দল কে এগিয়ে নিয়ে গেছে তেজস্বী। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবেও ছিল তার নাম। এইসবের মধ্যে পার্টিতে নিজের প্রাপ্য স্থান না পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তেজ প্রতাপ। এমনটাই জল্পনা রাজনৌতিক মহলে।
তেজ প্রতাপের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিজেপি। বিহার বিজেপির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় ঝা অভিনন্দন জানিয়েছেন তেজ প্রতাপকে। তিনি আরও বলেন যে, দলে থেকে নিজের যোগ্যতা প্রমান করা সত্ত্বেও দলে অগ্রাধিকার পাচ্ছিলেন না তেজ প্রতাপ। নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে এই নতুন সংগঠন খোলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে বিজেপি তাকে শুভ কামনা জানায়।
মহাগটবন্ধনের আর এক দল, তথা আরজেডি শরিক কংগ্রেসও এই সিদ্ধান্ত কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র রাজেশ রাঠোর বলেন যে নতুন সংগঠনের দরুন ছাত্র এবং যুবসমাজ একত্রিত হওয়াতে বিরোধীপক্ষ হিসেবে আরও বেশি পোক্ত হবে আরজেডি। যদিও বাকি তিন শরিক, সিপিএম , সিপিআই এবং সিপিআইএমএল (লিবারেশন) থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এপর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল অবধি নীতিশ কুমার সরকারের আমলে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্বভার সামলান তেজ প্রতাপ। ২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হাসানপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্যে বিধায়কপদের শপথ নেন তিনি।