Maharashtra Murder: মায়ের সাহায্যে বোনের শিরচ্ছেদ, কাটা মাথা হাতে নিয়ে সেলফি ভাইয়ের

রবিবার মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ঔরঙ্গাবাদ জেলায় ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় এক ১৯ বছরের কিশোরী। এক কিশোর তার মায়ের সহায়তায় নিজের ১৯ বছরের বিবাহিতা বোনের শিরচ্ছেদ করেছে এবং প্রতিবেশীদের সামনে বোনের সেই কাটা মাথা প্রদর্শন পর্যন্ত করেছে বলে পুলিশি সূত্রে খবর। পুলিশের তরফ থেকে দাবি করে বলা হয়েছে, তারা তদন্ত (Investigation) করে জেনেছেন যে ঐ কিশোর এবং তার মা এই কাটা মাথার সাথে সেলফিও তুলেছে।

সূত্র মারফত খবর, চলতি বছরের জুন মাসে বাড়ির অমতে গিয়ে কীর্তি থর (Kirti Thor) নামের তরুণী নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই কীর্তির মা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাকে বাড়িতে আসতে বলেন। ৫ ই ডিসেম্বর রবিবার কীর্তির শ্বশুরবাড়িতে নিজের ছেলেকে নিয়ে যান তার মা। শোনা যায়, ঐদিন কীর্তি তার মা-ভাইয়ের জন্য চা তৈরি করতে রান্নাঘরে গেলে, তার ওপর হামলা চালায় তার ভাই। কীর্তির মা তার পা চেপে ধরে রাখেন এবং ঐ সময়েই ধারালো একটি কাস্তে নিয়ে নিজের বোনের শিরশ্ছেদ করে তার ভাই।

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের খবর,খুনের খবর,বোনকে খুন ভাইয়ের,অমতে বিয়ের জেরে বোনকে খুন,মায়ের সাহায্যে বোনকে খুন ভাইয়ের,News of Aurangabad in Maharashtra,news of murder,murder of sister of brother,murder of sister due to unmarried marriage,murder of sister with the help of mother,Dishonour killing,woman beheaded,Maharashtra woman beheaded

ঐদিন সেই বাড়িতেই পাশের ঘরে উপস্থিত ছিলেন ঐ তরুণীর স্বামী। এরপর ওই তরুণীর স্বামীর ওপরেও আক্রমণ করার চেষ্টা করে ঐ তরুণ ও তার মা। কিন্তু কোনো মতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন কীর্তি থোরের স্বামী। পুলিশ জানান, নিহত হওয়ার সময় গর্ভবতী অবস্থায় ছিলেন কীর্তি থর। পুলিশের অধিকর্তারা জানান, সেই গর্ভবতী বোনকে হত্যা করার পর তার দাদা ঐ বিচ্ছিন্ন মাথাটিকে বারান্দায় নিয়ে যায় এবং আত্মসমর্পণের আগে প্রতিবেশীদেরকেও দেখান। এই রকম একটি নৃশংস হত্যার পর কীর্তি থরের মা ও তার দাদা নিজে বীরগাঁও থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

আরও পড়ুন….Asteroid 2018 AH- ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী, ধেয়ে আসছে বিশালাকার গ্রহানু

এই ঘটনার দায়িত্বে আছেন বৈজাপুরের (Baizapur) সিনিয়র অফিসার কৈলাস প্রজাপতি (Kailash Prajapati)। তিনি জানান, “প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে মেয়েকে ফোন করে দেখতে চেয়েছিলেন কীর্তির মা। ৫ ডিসেম্বর ছেলেকে নিয়ে আসেন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। নির্যাতিতার বাড়ি মাঠে। সে তার শাশুড়ির সঙ্গে মাঠে কাজ করছিল। মা ও ভাইকে দেখে সে। ক্ষেতে তার কাজ ছেড়ে দিয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে ছুটে গেল। সে তাদের দুজনকে জল দেয় এবং চা বানাতে রান্নাঘরে যায়। এই সময়েই তার ভাই পেছন থেকে এসে তার শিরশ্ছেদ করে। তার স্বামী অসুস্থ ছিলেন তাই তিনি বাড়িতেই শুয়ে ছিল। বাসন পড়ার শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে ছুটে যায়। মহিলার ভাই তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলেও সে পালিয়ে যায়। পরে ভাই ঘর থেকে বারান্দায় বেরিয়ে আসে কাটা মাথা সঙ্গে করে। তারপর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।” এমনকি তরুণীর ঐ কাটা মাথার সঙ্গে সেলফিও তুলেছিলেন কীর্তির মা ও ভাই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঐ অফিসার।




Back to top button