Corona cases in India: সংক্রমণের হার বাড়ছে কলকাতায়, কড়া বিধিনিষেধ জারি রাজ্য সরকারের

রাজ্যে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কলকাতায়। এই পরিস্থিতিতে কড়া বিধিনিষেধ জারি করার ঘোষণা করলেন রাজ্য সরকার। আগামী ৩রা জানুয়ারি থেকে জারি করা হবে বিধিনিষেধ সংক্রমণ আয়ত্তে রাখার জন্য। এখনও এই বিধি নিষেধের চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায় আছে পশ্চিমবঙ্গ।যেহেতু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী জানুয়ারির ৩তারিখ নেতাজি ইন্ডোরে ছাত্রদের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। কারণ এই পুরো সপ্তাহটি স্টুডেন্ট উইক হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল তাই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটি করার কথা ছিল, আপাতত সেটি বাতিল হয়েছে। এরই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পটির কর্মসূচিও।
যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে যে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কোনরকম রাজ্য সরকার সেটি স্পষ্ট। তাই রোগ ঠেকাতে আপাতত ৩রা জানুয়ারি থেকে কড়া বিধিনিষেধ চালু করা হবে। জানা গেছে এখনই কোনরকম ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হবেনা তবে বিমান চলাচল বন্ধ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।পাশাপাশি সিনেমা, রেস্তোরাঁ, পার্ক, অনুষ্ঠানে যত শতাংশ মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেটাও কমানো হবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কর্মচারীদের উপস্থিতির বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এই কয়েকদিনের মধ্যে কোনরকম লক ডাউন হবেনা।
২০২১-র শুরুতে করোনার প্রকোপ খানিকটা কমলেও এপ্রিল ও মে মাস নাগাদ সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল অতিরিক্ত। তাই বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাজার ও বিভিন্ন দোকান খোলা ও বন্ধের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সংক্রমনের হার কমলে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয় সমস্ত বিধিনিষেধ। ফলে গণপরিবনসহ বাজার,দোকান সবই খুলে দেওয়া হয় অবাধ ভাবেই। স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই আরম্ভ হয়েছে। চলছে লোকাল ট্রেনও। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়ায় ধাপে ধাপে বন্ধ করা শুরু হবে সবকিছুই।
অন্যদিকে রাজ্যে পয়লা জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার করোনা সংক্রমণ ৪,৫০০ পার করেছে। উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে সকলের মধ্যে। রাজ্যে ইতোমধ্যেই ১২ শতাংশ পার করেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। তবে এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মৃত্যুহার। শনিবারের রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। সুতরাং বলা চলে নতুন বছরে রাজ্যবাসী করোনার প্রকোপে আক্রান্তের হার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।