Gates of Hell : পৃথিবীর বুকেই আছে আস্ত এক নরকের দরজা, জীবিত অবস্থাতেই দেখুন সেই ছবি

জন্মিলে মরিতে হবে,. অমর কে কোথা কবে, চিরস্থির কবে নীর, হায় রে, জীবন-নদে?( Turkmenistan Gates of Hell ) কবিতার ছন্দে জীবনের আসল সত্যকে কবেই লিখে গিয়েছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। কিন্তু মৃত্যুর পরে কী? শুধুই কী অস্তিত্বহীনতা নাকি স্বর্গ-নরকের দরজা অপেক্ষা করে রয়েছে? এই নিয়ে নাস্তিক আস্তিকদের মধ্যে তীব্র বিরোধ থাকলেও অনেকেই বলেন পৃথিবীর বুকেই আছে আস্ত এক নরকে দরজা। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও তুর্কমেনিস্তানের (Turkmenistan desert)দরওয়াজা শহরের প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র এই নামেই পরিচিত।
Gates of Hell – এর বিবরণ

কারাকুম মরুভূমিতে অবস্থিত এই অগ্নিমুখটির ব্যাস ৬৯ মিটারও গর্ত প্রায় ৩০ মিটারের। গত ৫০ বছর ধরেই অবিরাম জ্বলে চলেছে এই অগ্নিমুখটি। একটানা জ্বলছে বলেই মূলত একে নরকের দরজা বলা হয়। ইতিহাস বলছে আসলে এটি কোনও প্রাকৃতিক গর্ত নয়।
কত সালে আবিষ্কার হয় এই Gates of Hell

১৯৭১ সালে মিথেন গ্যাসের বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য ভূতত্ত্ববিদগণ জ্বলামুখটিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই অবিরাম জ্বলে চলেছে এই অগ্নিকুণ্ড।
ইতিহাস কি বলছে Gates of Hell- এর ব্যাপারে

ইতিহাস এও বলছে ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েন ইউনিয়ন প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দরওয়াজা এলাকা অনুসন্ধানের সময় এই ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেন।

প্রথমে তারা মনে করেছিল এটি হয়তো একটি তৈল ক্ষেত্র। সেই ভাবনা থেকেই তাই ড্রিলিং মেশিন দিয়ে তেল উত্তোলনের জন্য সেখানে একটি ক্যাম্পও তৈরি করা হয়।

কিন্তু গ্যাস অনুসন্ধানের সময় অনুসন্ধানকারীরা গ্যাসবহুল গুহার মধ্যে মৃদু স্পর্শ করলে দুর্ঘটনা ক্রমে মাটি ধসে দেখা দেয় বড়সড় বিপর্যয়। পুরো ড্রিলিং রিগ সহ পড়ে যায়।
Gates of Hell- এর আসল রহস্য

এই ঘটনার পরেই বিষাক্ত গ্যাসে ভরে যায় গোটা এলাকা। গবেষণার পর জানা যায় ওই বিষাক্ত গ্যাস আদরে মিথেন।

বিষাক্ত ওই গ্যাসে যাতে পরিবেশের বাড়তি ক্ষতি না হয় তারপরেই ওই ক্ষননকার্য থামিয়ে ওখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়।
কত বছর হল এই Gates of Hell- এর

তারপর থেকে একটানা জ্বলে চলেছে দরওয়াজা শহরের প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র। এদিকে এই অগ্নিমুখটি দেখতে প্রতিবছরই পর্যটকরা দরওয়াজা শহরে আসেন।
কত পর্যটক আসেন এই Turkmenistan Gates of Hell

২০০৯ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৫০ হাজার পর্যটক স্থানটি পরিদর্শন করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : Worlds dirtiest man : টানা ৬৭ বছর স্নান করেই দিব্যি বেঁচে আছেন বিশ্বের সবথেকে নোংরা মানুষ দেখুন ছবি