চাষিদের ‘পাকা ধানে মই’ কালবৈশাখীর, অতিবৃষ্টির জেরে নষ্ট ধান-তিল

হু হু করে বেড়েছিল তাপমাত্রার(Temperature) পারদ। গরমের গনগনে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল চারিদিকে। বাড়ছিল তাপপ্রবাহ(Heat-Wave)। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের উঠে আসছিল নাভিঃশ্বাস। তাপপ্রবাহের দহন-দশায় একেবারে নাজেহাল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী। আকাশের দিকে বৃষ্টির আশায় চেয়ে ছিল চাতক পাখির মতো। তবে আপাতত সেই আশা পূরণ হয়েছে। কালবৈশাখীর প্রলেপে কমেছে গরমের চোখ রাঙানি। একেবারে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজেছে গোটা বঙ্গ। তবে এই মুষলধারে বৃষ্টির(Rain) পর কি কমেছে মানুষের ভোগান্তি?

loss of paddy

কালবৈশাখীর(Kalbaishakhi) দাপটে বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মানুষের ঘরবাড়ি। প্রাণ গেছে অনেকের। তবে বিপদ এখানেই থামেনি। একটানা বহুদিনের তাপপ্রবাহ। আর তারপর হটাৎ বৃষ্টির জেরে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ধান(Paddy) ক্ষেতগুলি। কথায় বলে, ‘পাকা ধানে মই।’ কালবৈশাখীর জেরে হটাৎ করে হওয়া অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চন্দ্রকোনা ধান ও তিল চাষিরা। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কালবৈশাখীর দাপট। যার জেরে ক্ষতির মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার চাষিরা। কৃষকদের দাবি, বোরো ধানের মরশুমে ছিটেফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি, যার জেরে ভূগর্ভস্থ জলের মাধ্যমেই চলেছে চাষের কাজ। ইতিমধ্যে জমিতে রয়েছে পাকা ধান আর তার মধ্যেই কালবৈশাখীর এই হটাৎ দাপট ও অতিবৃষ্টির জেরে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ধান ক্ষেতগুলি। শুধু তাই নয়! অতিবৃষ্টির প্রভাবে নষ্ট হয়েছে তিল চাষও।

আরও পড়ুন………মহাদেবের আশীর্বাদে সফল হবে ব্যবসা থেকে প্রেম, জেনে নিন আপনার আজকের রাশিফল

আরও পড়ুন………ফের টলিপাড়ায় সম্পর্কে ভাঙন! বিচ্ছেদের পথে জনপ্রিয় জুটি রোহন ও সৃজলা

এ প্রসঙ্গে অবন দুলি নামে এক কৃষকের বক্তব্য, “দু’দিন ধরে চলা অতিবৃষ্টির জেরে ভেঙে গিয়েছে অনেকের বাড়ি। শুধু তাই নয়, জমিতে পড়ে থাকা পাকা ধানও নষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। নষ্ট হয়েছে তিল গাছগুলিও। কেটে রাখা ধানও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” বস্তুত, আগামী সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিম ভারত থেকে আগত পূবালী হাওয়ার জেরে বাতাসে বাড়ছে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। সঙ্গে সঞ্চার হচ্ছে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ মেঘ। যার জেরে সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশে কালো মেঘের সাথে অতিমাত্রায় বৃষ্টির সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে।




Leave a Reply

Back to top button