রান্না করছিলেন, কানে বাজল হাঁটার শব্দ! পিছু ফিরতেই শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের সংক্রমণ

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : সারা সপ্তাহ অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রবিবার মানেই আয়েশ করে কাটানোর দিন। পরিবারের সাথে আনন্দে সময় কাটানোর দিন। আর এই আনন্দে ভরা রবিবারের বিকেলে যখন আপনি আপনার পরিবারের সকলের জন্য চা করতে গেলেন রান্নাঘরে তখনই দেখলেন কোনো এক ভয়ংকর জিনিস অপেক্ষা করছে আপনার জন্যই। যা দেখে রীতিমতো শিউরে উঠবে আপনার গোটা শরীর। কী করবেন তখন আপনি? ওই মূহুর্তে দাঁড়িয়ে প্রথম কি করণীয় আপনার? আপনি এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন এটা কোনো গল্প? না না এটা কোনো গল্প নয়। সত্যিই এমন একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন জলপাইগুড়ি ( Jalpaigudi) রায়গঞ্জ ব্লকের ( Rayganj) ফুলবাড়ি এলাকার শোভা ভিটা গ্ৰামের এক গৃহবধূ।
রবিবার বিকেলবেলা চায়ের আসর বসেছিল বর্ণব রায়ের বাড়িতে। বাড়ির সকলের জন্য চা বানাচ্ছিলেন বাড়ির গৃহবধূ। হঠাৎই তিনি লক্ষ্য করেন তাঁর রান্নাঘর থেকে আসছে অদ্ভুত একটি শব্দ। ফোঁস ফোঁস শব্দ আসছিল তাঁর রান্নাঘর থেকে। পিছন ঘুরে তাকাতেই রীতিমতো শিউরে উঠেন তিনি। দেখেন তাঁর রান্নাঘরে ধুকে পরেছে একটি বিশালাকার গো-সাপ ( Monitor Lizards)। সেই দৃশ্য দেখে মূর্ছা যাওয়ার জোগাড় তাঁর। এরপর কোনো রকমে নিজেকে সামলে রান্নাঘরের অপর একটি দরজা দিয়ে চিৎকার করতে করতে বেড়িয়ে আসেন তিনি।

গ্রামীণ এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর খবর ছড়িয়ে পড়ে ক্ষনিকের মধ্যেই। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের একাধিক মানুষ এসে ভিড় জমায় বর্ণব রায়ের বাড়ির সামনে। জানা গিয়েছে, এরপর তাঁরাই খবর দেন বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের ডাবগ্ৰাম রেঞ্জে। খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত সেই বাড়িতে আসেন বন কর্মীরা। এরপর তাঁরা গো সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বন কর্মী অরিত রায় বলেন, এটি একটি মনিটর লিজার্ড ( Monitor Lizards)। বাংলায় যাকে বলা হয় গো-সাপ। আগে এই প্রজাতির সাপগুলিকে এই জঙ্গল ও স্থানীয় এলাকায় প্রচুর দেখা যেত। বর্তমানে অনেক কম দেখা যায়। এই সাপের বিষ থাকে না। এগুলি নির্বিষ প্রাণী। কোনো ভাবে এখানে এসেছে। তাঁরা এটিকে ধরে নিয়ে গিয়ে রেঞ্জ অফিসে জমা দেবেন। এরপর এর শারীরিক চিকিৎসা করা হয়ে গেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রায়শই এই ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা শুনতে পাওয়া যায় জেলা গুলি থেকে। কয়েকদিন আগেই স্কুটির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিরল প্রজাতির সাপকে। স্কুটিতে কিছু সমস্যা দেখা দিলে তা ঠিক করাতে গ্যারেজে স্কুটিকে নিয়ে আসেন এক পাহাড়ি ব্যক্তি। এরপর ঠিক করার সময় গ্যারেজের লোক স্কুটির সামনে থাকা লাইটের বাক্স খুলতেই এক্কেবারে চমকে উঠেন। স্কুটির মধ্যে থাকা লাইট বাক্সের ভিতর পেচিয়ে ছিল একটি বিরল প্রজাতির বিষাক্ত সাপ গ্ৰিন পিট ভাইপার ( Green Peat Viper)।