গালাগালি করেই বড়লোক Roddur Roy! মণীষীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে কত টাকা আয় করেন তিনি?

লোকে তাঁকে এক নামে চেনে। রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতা বিকৃত করা থেকে শুরু করে যে কোনও বিষয়ে অকপটভাবে নিজের মন্তব্য রেখে দেওয়া। এই তাঁর প্রতিদিনের অভ্যাস। ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে সেই রোদ্দুর রায়কে(Roddur Roy) নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে তিনি এখন একটি বিখ্যাত নাম। নেটিজেনরা বলেন, ‘লোকটা পাগল!’ কিন্তু তারপরও তাঁর ভিডিও দেখতে হাজারও লোকের ভিড়। যে কোনও বিষয়ে নিজের মতামত খোলামেলাভাবেই বলে থাকেন। আর তাঁর সকল ভিডিওগুলির মধ্যে অশ্রাব্য ভাষার প্রয়োগ ও তাঁর হাতে একটি জয়েন্ট খুব সাধারণ। এই দুটি ব্যবহার না করলে তাঁর ভিডিও অসম্পূর্ণ। 

তবে তাঁর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের ধারণা বিশেষ নেই। শোনা গিয়েছে, এক সময় নাকি দিল্লিতে এক IT সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। তারপর সেই চাকরি ছেড়ে মননিবেশ করে ছিলেন পড়াশোনায়। পরে নেটমাধ্যমে মণীষীদের গালিগালাজ এবং একাধিক বিকৃত গান-কবিতা। এই করেই  নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েন রোদ্দুর রায়। এখন দিব্ব্যি সোশ্যাল মিডিয়ার টাকাতেই জীবন কাটান তিনি। আসল নাম অর্নিবাণ রায়। কিন্তু নেটমাধ্যমে লোকে তাঁকে চেনে রোদ্দুর রায় হিসাবেই। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছেন রোদ্দুর রায়। গোয়া থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। 

roddur roy3

অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেই পকেট ভরেছে তাঁর। ভিডিও প্রতি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকাও। অনেকের মতে, টাকা রোজগারের জন্যই এই প্রকার ভিডিও করার পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছেন তিনি। আর সত্যি বলতে, তাঁর প্রতিটি ভিডিয়োয় ভিউ-এর পরিমাণ নজর কাড়বে যে কারোর। এমনটাও জানা গিয়েছে, বাংলা আঞ্চলিক ভাষা ফলত তার রিচও কম হবে। সেই কারণেই রিচ ও মুনাফা বাড়াতে নিজের ভিডিওতে বেশি মাত্রায় ইংরেজী শব্দেরও ব্যবহার করে থাকেন। তাঁর প্রতিটি ভিডিওতেই দুই থেকে আড়াই লক্ষ ভিউ। অর্থাৎ অনেক মুনাফা। 

শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রবীন্দ্রনাথ- রোদ্দুর রায়ের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন সকলে। রোদ্দুর রায়ের প্রোফাইল দেখে বিশেষজ্ঞদের মতামত, গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন শিল্প মাধ্যমে সাররিয়্যাল ও পোস্ট মর্ডানিস্ট ভাবধারার প্রয়োগ করে চলেছে সে। বিজ্ঞানের ছাত্র তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় সোশ্যাল মিডিয়া বা এই নব্য মাধ্যমকে খুব ভালো ভাবেই বোঝেন। যার ফলে আজকে এই প্রকার কন্টেন্টে দিয়েও টাকার গদিতে বসে সে।




Leave a Reply

Back to top button