দীঘায় পুজো নিয়ে তৎপর প্রশাসন, খাদ্যস্থানগুলিতে হানা আধিকারিকদের
পুজোয় পর্যটকদের খাদ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দীঘার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে আচমকা হানা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের।

শুভঙ্কর,দীঘা: পুজো মানে আলোয় ভরা শহর! পূজো মানে শহরের আনাচে কানাচে প্যান্ডেল! পুজো মানেই খুদে ও বড়দের নতুন পোশাকে রাস্তায় ভিড় জমানো! তবে পূজোর ক্ষেত্রে সব সময় মানুষ শহরের ভিড় পছন্দ করেনা। অনেকে এই সুযোগে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় বাইরে। কারোর পছন্দ হয় পাহাড়। আবার কারোর পছন্দ হয় সমুদ্র সৈকত। এই মুহূর্তটা সবাই নিজেদের মতো করে উপভোগ করতে পছন্দ করে। যদি পুজোর সময় হলিডে ডেস্টিনেশনের কথা বলাই হয়, তাহলে সবার আগে যে নামটি মাথায় আসে, সেটি হলো বাংলার সমুদ্র স্থান। অর্থাৎ দীঘা। সত্যি বলতে গেলে দিঘাও কলকাতা শহরের চেয়ে কোন অংশে কম যায়না পুজোর সময়। পুজোতেও দীঘার ভিড় সারা বছরের মতো একই থাকে।
তবে দিঘার পুজো যাতে জমকালো হয়ে ওঠে এবং পর্যটকদের যাতে কোনরকমের অসুবিধে বা অস্বস্তিতে পড়তে না হয়, তার জন্য তৎপর সেখানকার প্রশাসন। যেহেতু দীঘা মানেই সমুদ্র সেই কারণে মানুষের প্রথম পছন্দ সব সময় সমুদ্র এবং তার সাথে সুস্বাদু সি-ফুড। তাই পর্যটকদের দিঘার খাবারকে ঘিরে যাতে কোনরকমের সমস্যা না হয়, সেই কারণে সেখানকার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে আচমকা হাজির হলো খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। তারা সবকিছু খতিয়ে দেখছেন, যেমন খাদ্যের ক্ষেত্রে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা বা কোন নিষিদ্ধ মশলাপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা বা কোথাও বাসি খাবার দেওয়া হচ্ছে কিনা। এমনকি যাদের খাদ্য সুরক্ষার শংসাপত্র নেই, তাদের সতর্ক অবধি করা হয়। শুধু বড় হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নয়, ছোট দোকানগুলিতেও হানা দেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, আর সপ্তাহ দুই বাদে গোটা রাজ্যজুড়ে শুরু হবে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই, সব জায়গায় শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ এবং শপিংমলগুলিতে ভিড় জমেছে পুজোপ্রেমীদের নতুন পোশাক কেনার উপলক্ষে। তবে সবার প্রার্থনা এটাই যে এবারের পূজোতে যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি।