যৌথ ব্যবসা করছেন শুভেন্দু-নওসাদ! নন্দীগ্রামের স্কুলের অঙ্ক প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক
শুভেন্দু অধিকারী এবং নওসাদ সিদ্দিকি। পশ্চিবঙ্গের বিরোধী রাজনীতির সবচেয়ে চর্চিত দুটি নাম।

শুভেন্দু অধিকারী এবং নওসাদ সিদ্দিকি। পশ্চিবঙ্গের বিরোধী রাজনীতির দুটি জনপ্রিয় নাম। একজন বিজেপির বিধায়ক, অন্যজন আইএসএফ-এর। যদিও শাসক দলের অভিযোগ, বাংলায় বিজেপির মদতেই আইএসএফের বাড়বাড়ন্ত। এর মধ্যে নন্দীগ্রামের একটি স্কুলে দশম শ্রেণীর অঙ্কের প্রশ্ন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একটি লাভ-ক্ষতির অঙ্কে শুভেন্দু ও নওসাদের যৌথ ব্যবসার উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়েই যত বিতর্ক। প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে সশ্যাল মিডিয়ায়।
মহেশপুর হাইস্কুলের এই প্রশ্নপত্রে শুভেন্দু ও নওসাদের নাম থাকলেও কোন পদবি উল্লেখ করা হয়নি। প্রশ্নটি হল – ‘শুভেন্দু এবং নওশাদ যথাক্রমে ১৫০০ এবং ১০০০ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। এক বছর পর ব্যবসায় ৭৫ টাকা ক্ষতি হলে শুভেন্দুর কত ক্ষতি হবে? উত্তর কি হবে তা বেছে নিতে বলা হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘৪৫ টাকা/ ৩০ টাকা/ ২৫ টাকা/ ৪০ টাকা।’ অর্থাৎ শুভেন্দুর কত টাকা ক্ষতি হয়েছে, সেটাই ছাত্রদের কষে বের করতে হবে।
এই প্রশ্ন নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে। শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা। নওসাদ আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক। দুজনেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব। কখনও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন তো কখনও আবার সন্ত্রাসের অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন। পাল্টা শাসক দলও শুভেন্দু ও নওসাদের মধ্যে যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ করে। এই আবহে স্কুলের প্রশ্নপত্রে শুভেন্দু ও নওসাদ নাম থাকায় বিতর্ক বেঁধেছে।
এই বিষয়ে মহেশপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস দাস জানিয়েছেন, ‘প্রশ্নপত্রে আমাদের স্কুলের নাম রয়েছে। কিন্তু এখনও পরীক্ষা হয়নি, অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে, সংশোধন করে নেওয়া হবে’। পাশাপাশি যে শিক্ষক এই প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে গণিতের শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি যে প্রশ্নপত্র করেছেন তার সঙ্গে এর কোন মিল নেই।
অন্যদিকে এমন প্রশ্নপত্র তৈরি করে শিশুদের মনে রাজনীতি ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, পরিকল্পনা করেই বাচ্চাদের মাথায় রাজনীতি ঢোকানো হচ্ছে’। তবে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না ভাঙড়ের বিধায়ক। নওসাদের কথায়, ‘আমার নাম ভাল লেগেছে তাই ব্যবহার করেছে, এই নিয়েআমার কোন মাথাব্যথা নেই’। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘স্কুলের আরও সতর্ক থাকা উচিত’।