খাবার নয়, মুখে মাখুন ধোসা! রূপচর্চার আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া টোটকায় হাজির ওটস দুধ ময়দাও
শীতের শুষ্ক ত্বক হোক বা বর্ষার চুল পড়ার সমস্যা, ত্বকের যত্ন তো নিতেই হয় সারাবছর ধরেই। আর ত্বকের যত্ন বা রূপটানের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদকে ভারতবর্ষের মানুষ মান্যতা দিয়েছে সেই প্রাচীন যুগ থেকেই। আধুনিক কালে একাধিক স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ডের বহু আগে থেকেই মুলতানি মাটি, বেসন, হলুদ, ফুলের পাপড়ি ইত্যাদি ভারতের নারীদের সৌন্দর্যের গোপন রহস্য হিসেবে সমাদৃত হয়েছে।
তবে আয়ুর্বেদিক উপায়ে নিজের রূপের সৌন্দর্য্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই নানা অসুবিধার সম্মুখীন হই। অনেক সময়েই ঋতুভিত্তিক অপ্রতুলতার জন্য আমরা যে যে উপাদানগুলি আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করি সেগুলো যথেষ্ট পরিমাণে পাই না। তবে তাছাড়াও এমন অনেক উপাদান আছে যেগুলি আমাদের ঘরে প্রায় সবসময়েই মজুত থাকে। এখানে সেইসব কিছু উপাদান দিয়ে তৈরী কয়েকটি ঘরোয়া প্যাক সম্বন্ধে আলোচনা করা হল।
দই, ছোলার ময়দা এবং হলুদ দিয়ে তৈরী প্যাক ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ভীষণই কার্যকরী। একটি পাত্রে এক চামচ দই, ১/৪ চামচ ময়দা, সামান্য পরিমাণ হলুদ একসঙ্গে নিয়ে সেটিকে মেখে নিয়ে মুখে লাগাতে হবে প্যাকটি। এরপর দশ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ধুয়ে ফেলতে হবে প্যাকটি।
দুধ দিয়ে ওট ভিজিয়ে অনেকেই হেলদি ব্রেকফাস্ট করেন। কিন্তু এই দুধে মেশানো ওটস এর গুঁড়োর মিশ্রণ যে প্যাক হিসেবেও আপনি ত্বকে লাগাতে পারবেন এ তথ্য নিশ্চয়ই জানা ছিল না আপনার। এই মিশ্রণটি প্যাক হিসেবে মুখে মাখার পর যতক্ষণ না শুকোচ্ছে আপনাকে রেখে দিতে হবে। এরপর মুখেই প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে জল দিয়ে।
মধু এবং লেবু দিয়ে একগ্লাস গরম জল অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে পান করে থাকেন ফিগার ভালো রাখতে। তবে জল ছাড়াও শুধুমাত্র লেবুর রস এবং এক চামচ মধুর মিশ্রণ মুখে লাগানোই যায় প্যাক হিসেবে। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই মুখের ঔজ্জ্বল্য যে বাড়বেই এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের মধ্যে ধোসা অনেকেরই বেশ প্রিয় খাবার। তবে ধোসা বানানোর যে মিশ্রণ বা ব্যাটার সেটিকেও যে রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এ তথ্য অনেকেরই জানা নেই। ধোসার মিশ্রণ বা ব্যাটারকে সোডা বা দই মেশানোর আগেই আলাদা করে সরিয়ে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে অন্তত তিন থেকে চার দিন। এরপর এই মিশ্রণ হাতে পায়ে এবং মুখে মাখলে রূপের জেল্লা অবশ্যই বাড়বে।