TCS JOB: কর্পোরেট চাকরির দুনিয়ায় নয়া দিগন্ত, ‘রতন’ লাভেই কীভাবে ভাগ্য ফিরছে টিসিএস কর্মীদের
কোনও কোম্পানিতে (company) কাজ করতে গেলে, চাকুরীজীবী সেই ব্যক্তিকে উজাড় করে দিতে হয় নিজেকে। কিন্তু যদি এমন হয় যে বাড়িতেই বসেই মিটে যাবে সব রকমের অফিসের কাজ। অফিসে (Office) মুখ দেখাতে হবে কিছু কিছু সময়। সত্যিই কি সম্ভব? নাকি কল্পনা? না কল্পনা নয়, একদম বাস্তব। আর এই ঘটনাকে বাস্তব করে তুলল ভারতবর্ষের অন্যতম জায়েন্ট ব্যবসায়িক কোম্পানি ‘টাটা’ (Giant Business Company ‘TATA’)।
নিত্যনতুন চমক এবং অভিনব উদ্যোগে বরাবরই এগিয়ে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (Tata Consultancy Service)। বছর শেষে টাটা নিয়ে আসল এক অভিনব চমক। কর্মচারীদের কাজ করতে হবে শুধুমাত্র ছ’ ঘণ্টা। এই করোনা-কালীন পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে কাজ করতে করতে এতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন কর্মীরা এবং এতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন তারা। তাদের মতে একে যাতায়াতের খরচ, সময় এবং পরিশ্রম সমস্তটাই সাশ্রয় হচ্ছে। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করে টাটা (TATA) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছর তাদের ৭৫ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন বাড়িতে বসেই।
২৪ ঘণ্টার দিনটাকে চার ভাগে ভেঙে তার শুধু একটা ভাগ, অর্থাৎ ৬ ঘণ্টা অফিসকে দিতে হবে। বাকি সময়টা পুরোপুরি কর্মীদের—দিন কয়েক আগে কর্মীদের এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (TCS)। ভারতীয় সংস্থা টাটার তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে কর্মীদের কাজের সময়সীমা ২৫ শতাংশের বেশি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি আগামী পাঁচ বছর টিসিএস-এর ৭৫ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন বাড়ি থেকেই।
আরও পড়ুন – অনুপমা থেকে কুন্ডলি ভাগ্য টিআরপি দৌড়ে কে এগিয়ে, রইল সম্পূর্ণ তালিকা
ইতিমধ্যেই টাটা (TATA) সরকারি উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার দ্বায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) টাটার হাতেই ছিলো। টাটার আর একটি উল্লেখযোগ্য অবদান হলো গাড়ি। তারাই প্রথম মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কথা মাথায় রেখে ২০০৮ সালে ‘টাটা ন্যানো’ নামে একটি সস্তার গাড়ি বাজারে আনেন। ওই বছরই আন্তর্জাতিক সংস্থা ফোর্ডের (Ford) ব্যাবসা কিনে নিয়ে টাটা বাজারে নিয়ে আসে ‘জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার’ (Jaguar Land Rover)।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজে নিজের জীবন কাহিনী বর্ণনা করেছেন রতনজি ভাই টাটা (Ratan Tata)। সেখানে উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা ছন্দ যেমন ওঠা-পড়া, ঘাত-প্রতিঘাতের কথা। সেখানেই রতনজি জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। বিয়ে করবেন ঠিকও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তাঁকে ভারতে আসতে দেয়নি। রতনও আর বিয়ে করেননি। তবে তাঁর অনুরাগীরা বলেন, তিনি বিয়ে করেছেন তাঁর কাজের সঙ্গে। এই কাজ প্রেম থেকেই হয়ত নিজের জীবনকে বুঝে এই ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন টাটা।