প্র্যাঙ্কস্টার সেন ওয়ার্ল্ড বিটার, ঘরকুনো ছেলে লক্ষ্য বিশ্ব খেতাবের দোরগোড়ায়

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা : প্র্যাঙ্কস্টার থেকে ওয়ার্ল্ড বিটার (‌ Lakshya Sen )‌ । লক্ষ্য সেনের রূপান্তরে রয়েছে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিবৃত্ত। বললেন লক্ষ্য সেনের প্রশিক্ষক বিমল কুমার। একসময়ের ঘরকুনো ছেলে এখন অল ইংল্যান্ড ওপেনের ফাইনালিস্ট। একজন প্রতিভাবান চিন্তাশীল শাটলারে পরিণত লক্ষ্য। বিমল কুমার বলেন, 8 বছর বয়সী প্র্যাঙ্কস্টারের কথা মনে করলে চোখে জল এসে যাবে। লক্ষ্য সেনও (‌ Lakshya Sen )‌ এর ব্যতিক্রম। অল ইংল্যান্ডে সেনকে দেখে বিভ্রান্ত বিমল। তরল ইস্পাত এই গত ছমাসে সেনের শিরাউপশিরাকে স্ফীত করেছে। ইস্পাত সম প্রচেষ্টা, দৃঢ় সংকল্প যা হঠাৎ লক্ষণীয়। বেঙ্গালুরুর কোচ এবং সেনের পরামর্শদাতা বিমল কুমার বারবার মোটিভেট করেছেন লক্ষ্যকে,তোমাকে সেরা খেলোয়াড় হতেই হবে।Lakshya Sen

বিমল বলেন, ২০ বছর বয়সী সেনের প্রায় রাতারাতি বেড়ে ওঠার পেছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে। প্রকাশ পাডুকোন একবার লক্ষ্যকে (‌ Lakshya Sen )‌ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তুমি কি গৃহহীন?’ লক্ষ্য বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ’। তাই আমরা তাকে বলেছিলাম, ‘আমরা তোমাকে আগামীকাল বাড়ি পাঠিয়ে দেব।’ লক্ষ্য যায়নি নিজের বাড়িতে। অনুশীলনে মনোনিবেশ করার জন্য। খেলোয়াড়দের উপর গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ এটাই যে তারা খেলার কাছেই বন্দী। প্রশিক্ষক বিমলের কোচিং-এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য শান্ত পাহা‌ড়ী ছেলেটিকে নিজের ঘরানায় তৈরী করতে চেষ্টা চলিয়ে গেছে। দুর্দান্ত গেমের স্ট্যাম্প ও স্বাধীন চিন্তা-চেতনায় তার পায়ের শাটলার লক্ষ্য বড় হয়ে উঠেছেন। পাডুকোন অ্যাকাডেমি প্রশিক্ষণে থাকা প্রত্যতেই সচেতনভাবে নেট-টাম্বল করে। এটা একাডেমির নীতি। বিমল জানান, লক্ষ্য লিচং ওয়েই এবং তৌফিক হিদায়াতের ভিডিও দেখে স্ম্যাশ এবং জাম্পে মেতে ছিল। জের দিয়েছিল নেট গেমে যাতে সে সিঙ্গেলসে খেলতে পারে। লক্ষ্যকে নিয়মিত কোচিং করানো হয়েছিল। বার্মিংহামে সেমিফাইনালে লি জি জিয়ার বিপক্ষে নেট ড্রিবল মালয়েশিয়ানদের ধরাশায়ী করেছিল। এই কাউন্টার-ড্রিবল ছিল দারুন।

আরও পড়ুন টম এন্ড জেরির জুটি, প্রেম ঝগড়ায় রোমান্টিক সিদ্ধান্ত-‌অনন্যার রসায়ন

সেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শক্ত স্পুন ড্রিবলগুলিতে প্রতিপক্ষের অধৈর্যতাকে কাজি লাগিয়ে সুফল পায়। সেন প্রতিদ্বন্দ্বীর হিটেবল জোনের চেয়ে উঁচুতে লিফ্ট করার ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য।প্রশিক্ষক বিমল ডেনিশ গ্রেট মর্টেন ফ্রস্টের সঙ্গে ১৯৮৫-৮৮ সালে ইংল্যান্ডের সেরা শাটলে উইম্বলডন ব্যাডমিন্টন এবং স্কোয়াশ কোর্টে খেলেছিলেন। লক্ষ্যে ২০২০ তে টিম ইভেন্টে ডাবলস খেলতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন। তবুও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও লক্ষ্য ঠিক রাখার মনোভাব আরও ভাল খেলোয়াড়(‌ Lakshya Sen )‌  হতে সাহায্য করছে, বলেন প্রশিক্ষক বিমল। লক্ষ্য সেন থমাস কাপের দলে জায়গা না পাওয়ার কারণেই হয়তো কিছু ভেঙে পড়েছিলেন। ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়া এক ভিন্ন লড়াকু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে মনের মধ্যে। এই মানসীকতা তাকে অল ইংল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছে দেয়।




Leave a Reply

Back to top button