“কাশ্মীর ফাইলস দেখে মনে এলো বাঙালি হিন্দু সংকটের কথা” দাঙ্গার পুরানো স্মৃতি উস্কে দিলেন তসলিমা

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা : কাশ্মীর ফাইলের ( The Kashmir Files ) অনবরত চর্চায় উঠে আসছে পরিচিত ইতিহাসের আস্ফালন। চোখের সামনে ধটে যাওয়া একের পর এক ঘটনা স্বাক্ষী অনেকেই।”কাশ্মীর ফাইলস দেখে মনে এলো বাঙালি হিন্দু সংকটের কথা” দাঙ্গার পুরানো স্মৃতি উস্কে দিলেন তসলিমা। খুব কাছেপিঠের ইতিহাস ঘাঁটলে কমিউনিস্টরা বাংলায় হাজার হাজার অস্পৃশ্যকে হত্যা করেছিল অথচ কিন্তু কেউ এ বিষয় নিয়ে কথা বলেনি। বিয়াল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ আজও বিচার চাইছেন। কাশ্মীরের পণ্ডিতদের মতো, শিশুদের সঙ্গে জঘন্য আচরণ করা হয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ( The Kashmir Files ) গণহত্যা স্বাধীনতাপরবর্তী ভারতের সবচেয়ে অন্ধকার পর্যায়গুলির মধ্যে একটি। শতাধিক পণ্ডিতকে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। একথা ঠিক নারীরা আরও বেশি কষ্ট পেয়েছে। শ্লীলতাহানি ও গণধর্ষণ বাচ্চাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে। এমনকি স্বামীর রক্তে মাখানো খাবার রান্না করে খাওয়ানো হয়। এমনকি কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় কাঠ কাটা করাত দিয়ে অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছিল। বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য কাশ্মীর ফাইলস মানুষকে ট্র্যাজেডির তীব্রতা উপলব্ধির এক উদাহরন।
বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন টুইটে লেখেন: “আজকে কাশ্মীরি ফাইল দেখলাম। যদি গল্পটি ১০০ শতাংশ সত্য হয়, কোন অতিরঞ্জিত না হয়, কোন অর্ধ-সত্য না হয় – তাহলে এটি সত্যিই একটি দুঃখজনক গল্প এবং কাশ্মীরি পন্ডিতদের অবশ্যই কাশ্মীরে ( The Kashmir Files ) তাদের বসবাসের অধিকার ফিরে পেতে হবে। আমি বুঝতে পারছি না কেন বাংলাদেশ থেকে বাঙালী হিন্দুদের নির্বাসন নিয়ে কোন ফিল্ম তৈরি হয়নি। তার টুইট থেকে দুটি বিষয় উঠে আসে: প্রথমটি হল: “গল্পটি যদি ১০০ শতাংশ সত্য হয়…” এটা বেশ বোঝা যাচ্ছে যে এমনকি একজন সুপরিচিত লেখক যিনি বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন, তিনিও এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন। কাশ্মীরে গণহত্যা। অন্ধকার পর্বগুলো আড়াল করে রাথার ব্যর্থতার জন্য রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী উভয় শ্রেণিই দায়ী। এটি পন্ডিত গণহত্যাকে স্যানিটাইজ করার জন্য ভারতীয় ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে, কাশ্মীরিয়াতের নামে পুরো ঘটনাটাই একটা কার্পেটের নীচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন লখনউ সুপার জায়ান্ট কেএল রাহুল, নতুন দলের অধিনায়কত্বই বড় চ্যালেঞ্জ
তসলিমা নাসরিন আরোও বলেন, আমি বুঝতে পারছি না কেন বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দুদের নির্বাসন নিয়ে কোনো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি। একজনের মৃত্যু যেমন একটি দুঃখজনক ঘটনা। এক মিলিয়ন মৃত্যু একটি পরিসংখ্যান মাত্র। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত, কেউ জানত না যে দেশের সীমান্ত ঠিক কোথায়। মালদা জেলায় ১৪ আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানি পতাকা প্রশাসনিক সদর দফতর থেকে নির্লজ্জভাবে ওড়ানো হয়েছিল। তারপর জানা যায় এলাকাটি ভারতের। পাকিস্তানের ভয়ে লোকেরা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকতো। একইভাবে কাশ্মীরের পণ্ডিতদের মতো, শিশুদের সঙ্গে জঘন্য আচরণ করা হয়েছে। কাশ্মীরি ( The Kashmir Files ) পণ্ডিতদের গণহত্যা স্বাধীনতাপরবর্তী ভারতের সবচেয়ে অন্ধকার পর্যায়গুলির মধ্যে একটি। তবে ভারতের বুকে এরকম অনেক ঘটনাই আজও ধামাচাপাই রয়ে গেছে।