ইন্ডিয়া জোটে বড় দায়িত্ব পেলেন অভিষেক, ১৪ জনের কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে নেই মমতা-রাহুল-সনিয়া
মুম্বইয়ের বৈঠকে কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করল ইন্ডিয়া জোট। ১৪ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। রয়েছেন মূলত বিরোধী দলের মাথারা।

মুম্বইয়ের বৈঠকে কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করল ইন্ডিয়া জোট। ১৪ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। রয়েছেন মূলত বিরোধী দলের মাথারা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী এই কমিটিতে নেই। তৃণমূলের তরফে জায়গা পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিপিএমের কোনও প্রতিনিধিকে কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে রাখা হয়নি।
যে ১৪ জনকে নিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাঁরা হলেন – হেমন্ত সোরেন (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা), কে সি বেণুগোপাল (কংগ্রেস), সঞ্জয় রাউত (শিব সেনা), ওমর আবদুল্লাহ (এনসি), মেহবুবা মুফতি (পিডিপি), ডি রাজা (সিপিআই), টি আর বালু (ডিএমকে), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), রাঘব চাড্ডা (আপ), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল), লালন সিং (জেডিইউ), জাভেদ আলি খান (সমাজবাদী পার্টি)। কমিটিকে নেতৃত্ব দেবেন শরদ পওয়ার।
কমিটিতে শুধু মমতা, রাহুল, সনিয়া নয়, লালুপ্রসাদ যাদবও নেই। সোজা কথায়, বিরোধী দলগুলির প্রথম সারির নেতারা এই কমিটিতে নেই। জায়গা দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় সারির নেতাদের। তবে জোটের শেষ কথা বলবেন, প্রথম সারির নেতারাই। তাহলে এমন কো-অর্ডিনেশন কমিটি তৈরি করে লাভ কী? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, জোটকে একাধিক কর্মসূচি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, শীর্ষনেতাদের সেই ব্যাপারে সাহায্য করবেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতারা। কখন, কোন কর্মসূচি নেওয়া হবে, কীভাবে তা রূপায়ন হবে, সেই সব সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। পাশাপাশি আসন রফা জোটের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জানা যাচ্ছে, মুম্বই বৈঠকে সেই নিয়ে কথা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই বিষয়ে আগেই বলেছেন মমতা এবং নীতীশ কুমার। শুক্রবার দলের কর্মীদের এই নিয়ে সতর্ক করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও। এই আবহে ইন্ডিয়া জোটও যত দ্রুত সম্ভব প্রচার শুরু করতে চাইছে। মুম্বইয়ের বৈঠকে ২অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিন রাজঘাট থেকে প্রচার শুরুর প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা। এখন দেখার বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়।