কানে বাজে মানুষের আর্তনাদ, নির্বাচনী আবহে ফিরে দেখা ১৬ বছর আগের বারাণসী সন্ত্রাসবাদী হামলা

আজ উত্তরপ্রদেশে শেষ দফার নির্বাচন। আলো ফুটতেই গোটা রাজ্য যেন তৈরি হয়েছে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে। আজ যে যুদ্ধের শেষ দিন, সুতরাং এই শেষ দফার নির্বাচন নিয়ে রাজ্য জুড়ে উত্তেজনা চরমে। নরেন্দ্র মোদীর গ্রামেও ( 2006 Varanasi Bombing ) বেজেছে নির্বাচনী কাঁসর। বারাণসী জুড়ে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণের পর্ব। তবে এই নির্বাচনের মাঝে একটু অন্য রকম পরিবেশ তৈরি করতে ফিরে দেখা যেতে পারে অতীতকে। তাকানো যেতে পারে অতীতের সেই পাতাগুলিতে যেদিন রক্তে রেঙে উঠেছিল এই পবিত্র ভূমি।

সাল ২০০৬, ৭ই মার্চ। প্রতিদিনের মতোই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত ছিল বারাণসীর সাধারণ মানুষ। একটা শান্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়েই দিন কাটাচ্ছিল এই পবিত্র ( 2006 Varanasi Bombing ) ভূমির জনগণ। পুজো ও প্রার্থনা নিয়ে ব্যস্ত ছিল মন্দির চত্বরের মানুষজন। কিন্তু হটাৎই যেন সব কিছু ছেয়ে গেল একটি অশান্তিতে। এক বিশাল আওয়াজ ফাটিয়ে দিল আশেপাশের মানুষজনের কান। সকলের নজর কাড়ল সেই বিস্ফোরণ। সংকেত মোচন মন্দির চত্বরে যেখানে বসে মহিলারা প্রার্থনা করত। যেখান থেকে ক্রমাগত ভেসে আসত প্রার্থনার সুর। সেই দিন যেন একটা বিরাট শব্দ ছড়িয়ে দিল নিস্তব্ধতা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই বিস্ফোরণ খেয়ে নিল ১০টি প্রাণ। পরে জানা যায়, একটি পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী দল সেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

2006 Varanasi Bombingগোটা ঘটনার জেরে ফের উত্থান হয় ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সংঘাতের। আজও স্মৃতির পাতা থেকে মুছে যায়নি ( 2006 Varanasi Bombing ) বারাণসীর সেই রক্তাক্ত দিনটি। ভুলে যায়নি মানুষ সন্ত্রাসবাদীদের সেই বর্বরতা। আজ ওই ঘটনার ১৬ বছর পরও যেন ভুলে যাওয়া যায়নি মানুষের সেই চিৎকার ও আর্তনাদগুলি। গোটা ঘটনাকে ঘিরে সেই সময় তোলপাড় হয়েছিল দেশ জুড়ে। চড়তে দেখা গিয়েছিল রাজনৈতিক পারদ।

আরও পড়ুন…Russia-Ukraine Conflict : এ যেন সাইবার ঘাত-প্রতিঘাত, ইউক্রেনের পাশে নেটফ্লিক্স, রাশিয়ায় বন্ধ পরিষেবা

প্রসঙ্গত, মন্দির চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েই থামেনি ( 2006 Varanasi Bombing ) সন্ত্রাসবাদীরা। পরিবেশ খানিকটা শান্ত হলেই মানুষের জীবনে অশান্তি তৈরি করতে ফের নেমে পড়ে সন্ত্রাসবাদীরা। মন্দিরে হওয়া বিস্ফোরণের মতোই আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটে বারাণসী কনটেনমেন্ট স্টেশন চত্বরে। একটি প্রেসার কুকারের মধ্যে বিস্ফোরক রেখে যাত্রীদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে ফেলে দেয় সন্ত্রাসবাদীরা। এই দু’টি ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নামলে বারাণসীর নানা ঘাটের মন্দির ও শহরের নানা এলাকা থেকে একাধিক বিস্ফোরক খুঁজে পায়। এই সময়কালে মন্দির ও শহরের নানা এলাকা  মিলিয়ে মোট ৬টি বিস্ফোরক বোমার সন্ধান পেয়েছিল বারাণসী পুলিশ।




Leave a Reply

Back to top button