আজ কেউ বিবাহিত, কেউ আবার গেছে কাজে! করোনা ছিনিয়ে নিয়েছে তাঁদের শিক্ষা

করোনা মহামারির জেরে সব থেকে বেশি যদি কিছু ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে তাহলে তা হল শিক্ষাব্যবস্থা। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে করোনা ( Online Classes ) প্রকোপ আর্থিক দারিদ্রতার পাশাপাশি এনেছে শিক্ষার দারিদ্রতাও। এই সময়কালে শিক্ষার নদীতে দেখা গিয়েছিল নতুন স্রোত। তা হল অনলাইন শিক্ষার স্রোত। অনলাইন মাধ্যমেই ( Online Classes ) শিক্ষাব্যবস্থায় মত্ত হয়ে উঠেছিল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। আর সংক্রমণ এড়াতে অভিভাবকদেরও জানাতে হয়েছিল সহমত। আর তার জেরেই যেন সমাজে উঠে এলো শিক্ষার দারিদ্রতা। দারিদ্রতা নাকি অভিশাপ। আর এই অভিশাপে অভিশপ্ত হল সমাজের এক বড় অংশ।
এদিন একটি সমীক্ষা মাধ্যমে জানা যায়, গত করোনা ( Online Classes ) মহামারির মধ্যে ৫৭ শতাংশ ছাত্রীরা অনলাইন ক্লাসে পড়াশোনা করার সুযোগ ও সময় উভয়ই পায়নি। নতুন করে স্কুল-কলেজ খোলার পর থেকেই দেখা গেছে শিক্ষায় পড়ুয়াদের অনীহা। একটা বড় সময় পর্যন্ত লকডাউন থাকায় পেট চালাতে কেউ কেউ পাড়ার দোকানে কাজে ঢুকে পড়েছে। কারোর পরিবার আবার তাদের কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। ফলে পড়াশোনা করার ইচ্ছা মনের মধ্যে থেকে গেলেও জীবন তাদের কাছ থেকে সেই সুযোগ কেড়ে নিয়েছে কিংবা বলা চলে সরকার তাদের কাছ থেকে সেই সুযোগ কেড়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানার বহু বস্তিতে ৫৭ শতাংশ ছাত্রীরা করোনা মহামারির মধ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ( Online Classes ) লকডাউনের জন্য পরিবারে আর্থিক দুরাবস্থার জেরে অথবা বিয়ে করে ফেলার জেরে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে তাদের। মহামারির মধ্যে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার যে চল ভারত তথা গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে সেই স্রোতের মধ্যে নিজেদের ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় এই পড়ুয়ারা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ পড়ুয়াই ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী।
আরও পড়ুন….Russia-Ukraine War: চেরনোবিল- এ পারমানবিক বিপর্যয়ের থেকে অল্পের জন্য রক্ষা, জেনে নিন
করোনার জেরে যে এই দুরাবস্থা শুধুই এই কটি রাজ্যে দেখা গেছে এমনটা মোটেই নয়। দেশের প্রায় সকল রাজ্যেরই এক অবস্থা। করোনার জেরে হওয়া ( Online Classes ) লকডাউনে দেউলিয়া হয়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। আর সেই প্রভাব পড়েছে তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষায়। অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও স্মার্ট ফোনের খরচ জোগাতে ব্যর্থ হয়েছে অনেক বাবা-মা। ফলত, পড়াশোনা থেকে সরিয়ে আনতে হয়েছে নিজেদের সন্তানদের। কখনও তাদেরও পাঠাতে হয়েছে কাজে কিংবা কন্যা সন্তান থাকলে বিয়ে দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেছে অভিভাবকরা।