আধার কাটালো জীবনের অন্ধকার, নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা  : আবেগঘন দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেন অনেকেই। মা ছেলের পুন:‌সাক্ষাৎ। বেঙ্গালুরুর একজন মহিলা তার নিখোঁজ হওয়ার ছয় বছর পর খুঁজে পেলেন ছেলেকে। ১৯ বছর বয়সী শ্রবণ ও বাকশক্তি হারা ছেলেকে আবার কাছে পেলেন মা। গভর্নমেন্ট শেল্টার হোম অর্থাৎ জিএসএইচ এর উদ্যোগে স্বামীহারা এক মা ফিরে পেলেন একমাত্র ছেলে ভারত চিকাপ্পাকে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ১৩ বছর বয়সে ভারত নিজের শহর থেকে নিখোঁজ হয়েছিল।  ২০১৬ সালের অক্টোবরে নাগপুর রেলস্টেশন থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়। বেঙ্গালুরুতে ২০১২ সালে তার আধার কার্ড ( Aadhaar reunites  ) থেকে তার ঠিকানা এবং মায়ের যোগাযোগের নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়।চকলেট কেনার জন্য ২০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফেরেনে চিকাপ্পা। নাগপুর রেলওয়ে স্টেশনে তাকে দেখা যাওয়ার আগে ভরত বলতেই পারেনি যে ২০১৬ র মার্চ থেকে অক্টোবরে ( Aadhaar reunites  ) এর মধ্যে কোথায় ছিল।Aadhaar reunites

ঠিকানা বা পিতামাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অক্ষম ভরত, শ্রবণ ও বাকশক্তিহীনতার কারণে নাগপুরে নানান অপরিচিতের বাড়িতে থেকে যায়। তার জন্য একটি আধার কার্ড ( Aadhaar reunites  ) তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। পরে বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কায় তার পরিবারের সন্ধান করে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ভরতের মা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন এবং তার ছেলেকে খুঁজে বের করার জন্য। বেশ কয়েকটি মন্দিরও পরিদর্শন করেছেন। পুলিশি তরফেএ চেষ্ঠা করা হয়। সমস্ত চেষ্টাই বৃথা। ছেলেদের জন্য জিএসএইচ-এর সুপারিনটেনডেন্ট, বিনোদ দাবেরাও জানান, ভারতকে যত্ন ও সুরক্ষা আইনে শিশু হিসাবে বিবেচনা করে নাগপুরে রাখা হয়। এবং বিশেষ স্কুলে নাগপুরে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হয়। ভারত ২০২১ এর ডিসেম্বরে জিএসএইচ-এ ( Aadhaar reunites  ) ফিরে আসে। এই বছরের জানুয়ারিতে। ভারত-এর শেল্টার হোমের কাউন্সেলর মহেশ রনদিভ তার জন্য একটি আধার কার্ড প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরো পড়ুন‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ বিশ্বের সেরা স্নাইপার ‘ওয়ালি’, রইল ‌রাশি‌য়া-‌ইউক্রেন যুদ্ধে সেই সেনার পরিচয়

আধার সেবা কেন্দ্রের ম্যানেজার ক্যাপ্টেন অনিল মারাঠে বলেন, ভারত-এর একটি নতুন আধার কার্ড ( Aadhaar reunites  ) তৈরির প্রথম প্রচেষ্টা ৪ ফেব্রুয়ারি বাতিল করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে আধার কার্ডের প্রযুক্তিগত কেন্দ্রীয় ভবনে যোগাযোগ করায়, জানানো হয় যে ভারত এর আধার কার্ড ইতিমধ্যেই রয়েছে। ভারত কুমার বি নামে তারা একটি এনরোলমেন্ট আইডিও দেন। মুম্বাই আঞ্চলিক অফিসে বলা হয় ভরতের বায়োমেট্রিক্স আইডির সাথে মিলেছে। ভরতের ঠিকানা এবং মায়ের বিবরণ পাওয়া গেছে। ভরতের মাকে নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের তরফে জানানো হয়। ৭ মার্চ বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কা পুলিশের মাধ্যমে একটি বার্তাও পাঠানো হয়। ভরতের মা বেঙ্গালুরু পুলিশে যোগাযোগ করে পরের দিন নাগপুরে পৌঁছন। আবেগপূর্ণ পুনর্মিলনের সহাবস্থানে তার ছেলের সাথে পুনরায় সাক্ষাৎ হয়,মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার রবীন্দ্র পাতিলের উপস্থিতিতে। পরের দিন আদালতের নির্দেশে ভরত তার মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে।




Leave a Reply

Back to top button