‘PoK আমাদের’: অমিতের হুঙ্কারে কেঁপে উঠল লোকসভা
বুধবার লোকসভায় পেশ করা হল জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল এবং ২০২৩ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিল।

অবশেষে কাশ্মীরের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। লোকসভায় কাশ্মীরের হয়ে গলা ফাঁটালেন অমিত শাহ। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট রাজ্যসভায় জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ নম্বর ধারা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ মোদির শাসন কালে এই সিদ্ধান্তকে রীতিমত ‘সাহসী’ তকমা দেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এবার ২০২৩-এ লোকসভায় দাঁড়িয়ে শাহ হুঙ্কার দিলেন, ‘Pok আমাদের’৷ জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের কথাও ঘোষণা করতে ভোলেননি তিনি৷
বুধবার লোকসভায় পেশ করা হল জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল এবং ২০২৩ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিল। এই দুই বিল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অমিত শাহ লোকসভায় জানান, আগে জম্মুতে ৩৭টি আসন ছিল, এখন নতুন বিল অনুযায়ী, তা বাড়িয়ে ৪৩ করা হয়েছে। অন্যদিকে, আগে কাশ্মীরে ৪৬টি আসন ছিল। নতুন বিলের আওতায় সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭।
শাহের এই সাহসী মন্তব্যের পরেই করতালিতে গমগম করে লোকসভা৷ এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘বহু বছর ধরে নেহরুর আমলে করা ভুলের খেসারত কাশ্মীরকে বহন করতে হয়েছে। প্রথম এবং সবচেয়ে বড় ভুল, যখন আমাদের সেনাবাহিনী পঞ্জাবে পৌঁছে গিয়েছিল, তখনই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দেওয়া হয়৷ যদি আর তিন দিন পরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হত, তাহলে POK এর জন্ম হত না। আজ PoK ভারতের অংশ হত। দ্বিতীয়ত ভুল ছিল, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় রাষ্ট্রপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া।’
অমিত শাহের সংযোজন, ‘কাশ্মীর সমস্যার মূলে কে ছিলেন? আমি কখনওই বলিনি নেহরু ক্ষতিকারক। এই বিল, তাঁদের জন্য, যাঁদের উপরে অন্যায় হয়েছে, যাঁরা অপমানিত এবং অবহেলিত হয়েছেন বারে বারে।’