Assam CM Himanta Biswa Sarma : পুলিশকে ধমকে ভাইরাল অসমের মুখ্যমন্ত্রী, হিমন্তর হিরোগিরিতে জোর চর্চা

Assam CM Himanta Biswa Sarma- ধমকানি যেন ফ্যাশন, আর সরকারী আধিকারিকদের ধমকানি যেন তীব্র ফ্যাশন। না না সাধারণ জনগণরা ( general public) এই ধমকানিতে অংশ নিতে পারেন না, আর নিলেও পরিণতি ভয়ঙ্কর। এই প্রতিযোগিতায় নাম লেখান নেতারা। এই ধরুন, অনেক দিন কোন একজন নেতা সংবাদমাধ্যমে জায়গা পাচ্ছেন না। ব্যাস, সালমান খানের ওই বিঞ্জাপনের মত তাদের মনও বলে ওঠে, ‘চালো কুছ তুফানি কারতে হ্যে’, আর নেতারা বেড়িয়ে পড়েন ধমকাতে। যেকোনো পথ চলতি মানুষকে তারা ধমকান না। নেতা বলে কথা, তাই তাদের ধমকানিও হয় বড় মাপের। সরকারি আধিকারিককে ধমকানি।

তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কনভয় আসছে বলে তাই স্থানীয় প্রশাসন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করেছিল। আর এতেই চটে যান আসামের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ( Assam CM Himanta Biswa Sarma)। আর রাস্তায় যানজট দেখে ডিসিকে ডেকে জোর ধমক ( Assam CM Himanta Biswa Sarma) দিয়ে বলেন , ‘কোনও রাজা এসেছে নাকি? এখানে ভিআইপি সংস্কৃতি বরদাস্ত করা হবে না।’

Assam CM Himanta Biswa Sarma : ‘এখানে কি নাটক চলছে?’

উল্লেখ্য, শনিবার নাগাঁও জেলায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ( Assam CM Himanta Biswa Sarma )। সেখানে একটি রাস্তার ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন তিনি। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তার ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ( Assam CM Scolds) দেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আসবে বলে ১৫ মিনিট ধরে রাস্তা আটকে রেখেছে পুলিশ। এর জেরে জাতীয় সড়কে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। তাতে আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সও। আর তা দেখেই একেবারে রেগে লাল হন হিমন্ত ( Assam CM Himanta Biswa Sarma)। এরপরই নাগাঁওয়ের পুলিশের ডেপুটি কমিশনারকে ডেকে রীতিমত ধমকের সুরে হিমন্ত ( Assam CM Scolds)  বলেন, ‘আরে ডিসি সাহেব, এখানে কি নাটক চলছে? গাড়ি আটকে রেখেছেন কেন? কোনও রাজা-মহারাজা এসেছেন নাকি?’

এতো গেল ঘটনার পরিসর। এবার আপনাকে ভারতবর্ষের চালচিত্র সম্পর্কে বলি। কোন ভিআইপি কনভয় দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যাওয়ার সময় সেই রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। সে নিয়ম যাই বলুক। এই যেমন দুদিন আগে হরিয়ানার এক মন্ত্রী সংসদে গিয়ে নালিশ জানান, রাস্তা দিয়ে আসার সময় পুলিশ আধিকারিকেরা তাঁকে আটকেছে। এর সঠিক বিধান হওয়া দরকার। আবার ধরুন, আর কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতির গুজরাটে ভ্রমণের সময় আঁটকে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক। একটি অ্যাম্বুলেন্সে আটকে প্রাণ হারান এক রোগী। আর পরিণয়ে রাষ্ট্রপতির একটি বেদনায় ভরা টুইট।

আসলে পুলিশের হয়েছে মহাজ্বালা। রাস্তা ফাঁকা করে রাখলেও দোষ, আর না করলেও দোষ। আর কোন আধিকারিককে যদি কোন নেতা ধমকে দেন, তাহলে সাধারণ জনগণের কাছে সেই নেতা হয়ে ওঠেন ‘হিরো’। আসলে দোষটা এই সমাজের। সাধারণ জনগণকে ধমকান আধিকারিকেরা। আধিকারিকদের ধমকান নেতারা। এ যেন এক ধমক ধমক খেলা। যদি সরকারী আধিকারিকেরা না ধমকে সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করতেন তাহলে হয়ত নেতাদের এই ধমকানির প্রতিবাদ সাধারণ জনগণই করতেন। আসল কথা হল, ‘গোড়াতেই গলদ’।

 




Leave a Reply

Back to top button