দীপাবলিতে অযোধ্যায় বাঙালি শিল্পীদের ছোঁয়া

অযোধ্যায় দীপাবলি উপলক্ষে সুন্দর সাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বাঙালি শিল্পীদের। অযোধ্যার নদীর ধার, রাস্তাঘাট মন্দির থেকে শুরু করে চিত্রকূটেও লাগানো হয়েছে চন্দননগরের আলো।

উত্তরপ্রদেশ: অযোধ্যার রাম মন্দির! এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে একটি বড়ো রাজনৈতিক ইতিহাস। প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েকজন ‘কার সেবক’। রাজনৈতিক তর্কাতর্কিতে মাঝেমধ্যেই উঠে আসে এই পবিত্র স্থানের প্রসঙ্গ। এমনকি জল গড়ায় আদালত অবধিও। এই মামলা শেষমেষ গেরুয়া শিবির জেতে এবং পরে ঘোষণা করা হয় জানুয়ারী ২০২৪এ উদ্বোধন করা হবে সবার আবেগের এই স্থানটিকে। তবে এই মুহূর্তে হিন্দুত্ববাদী সহ গোটা হিন্দু ধর্মের জন্য একটি বড়ো সুখবর! এই দীপাবলিতেই সেজে উঠছে অযোধ্যা। রাম ভক্তরা মনে করছেন, জানুয়ারির আগেই নভেম্বরেই অযোধ্যায় পা ফেলছেন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র।

কি সাজে সেজে উঠেছে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের জন্মভূমি? জানা গিয়েছে, ২১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে অযোধ্যার ঘাটগুলোতে। পাশাপাশি, ‘রাম কি প্যারি ঘাট’ এবং ‘চৌধুরী চরণ সিং ঘাট’-সহ মোট ৫১ টি ঘাটে মোতায়েন করা হবে ২৫ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়াও, আলাদা করে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যাকে। এখানেই শেষ নয়, এমনকি রাম মন্দিরের গা থেকেও আসছে আলো। সন্ধ্যা হতেই আলোয়ে ঝকমক করছে রাম মন্দির। এছাড়াও থাকবে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের জীবনে সংঘর্ষের প্রতি কিছু ছবি এবং ব্যবস্থা করা হয়েছে সরযূ নদীর আরতির এবং চারটি দেশ এবং ২৪টি রাজ্যের রামলীলার নাটকও। পবিত্র দীপাবলি উৎসবের সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে এলইডি টিভিতে। এই উৎসবের উপর নজর রয়েছে ২৫ হাজার চোখের। মনে করা হচ্ছে নাম উঠবে রেকর্ড বুকে।

Ayodhya,WB,Diwali,Festival,UP

তবে, এই সবকিছুর ঊর্ধ্বেও রয়েছে একটি বিশেষ ব্যাপার। কি সেটা? সেটি হল বাংলার ছোঁয়া। একটু বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে চন্দননগরের ছোঁয়া। অযোধ্যার এই সুন্দর সাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বাঙালি শিল্পীদের। অযোধ্যার নদীর ধার রাস্তাঘাট মন্দির থেকে শুরু করে চিত্রকূটেও লাগানো হয়েছে চন্দননগরের আলো। সব মিলিয়ে, বাঙালি ছোঁয়ায় আলাদা রূপ পেয়েছে অযোধ্যার দীপাবলি উৎসব। তবে এই প্রস্তুতিকে নিয়েও রাজনীতি দেখছেন রাজনৈতিক মহল। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোট নিজেদের পক্ষে পাকাপাকি করতে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে গেরুয়া শিবির।




Leave a Reply

Back to top button