দেশপ্রেমের সুরে তীব্র হোক স্বাধীনতার উদযাপন!আজকের প্লে লিস্টে থাকুক সেরা চার গান…
স্বাধীনতার দিবসের ভাবপ্রকাশে রইল সেরা চার গানের তালিকা।

পূর্বাশা,হুগলি: স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন ভারতবাসী। আকাশে বাতাসে বাজছে স্বাধীনতার সুর। এদিন পতাকা উত্তোলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্বাধীনতা সঙ্গীতে বাজে পাড়া থেকে স্কুল, অফিস থেকে অলিগলি সর্বত্র। যুগ যুগ ধরে স্বাধীনতা দিবসের নানান গান গেয়ে এসেছেন সঙ্গীতের কলাকুশলীরা। যার মধ্যে বেশিরভাগ গান অতীত থেকে আজও তার জনপ্রিয়তার ধারা বজায় রেখেছে। তেমনই কিছু গানের কথা বলা হল আজকের এই প্রতিবেদনে।
১) বন্দেমাতারম: সুজলাং সুফলাং,মলয়জশীতলাম্
শস্যশ্যামলাং, মাতরম্ ! বন্দেমাতরম্ ৷ স্বাধীনতা দিবস বললেই মনে বেজে ওঠে যে গান। সে গান ‘বন্দেমাতারম’। বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসের
গান এটি। পরে ঋষি অরবিন্দ ঘোষ এই গানকে বঙ্গদেশের জাতীয় সঙ্গীত বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
২) মুক্তির মন্দির: “মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হল বলিদান, লেখা আছে অশ্রু জলে” স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্তাক্ত ইতিহাসকে ফুটিয়ে তোলে মোহিনী চৌধুরির লেখা এই গান। গায়ে কাঁটা দেওয়া এই গান শুনে মনে পড়ে কত শত বিপ্লবীর প্রাণ বলিদানের ফলশ্রুতি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা।
৩) কারার ওই লৌহ কপাট: ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলো। ভেঙে ফেল সমস্ত বন্দীদশা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠো, সোচ্চার হও হে ভারতবাসী। বারংবার নিজ শব্দে জনগণকে বার্তা দিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম। তারই এক নিদর্শন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ সঙ্গীত। আজকের দিনে এই গান শুনলে মন ভালো হবে আপনার।
৪) আহ্বান শোনো আহ্বান: স্বাধীনতা দিবসের ভাবপ্রকাশে অন্যতম একটি জনপ্রিয় “গান হল আহ্বান শোনো আহ্বান”। গানের লেখক ছিলেন
সলিল চৌধুরি। মান্না দে ও সবিতা চৌধুরির গলায়
প্রাণ পায় এই সঙ্গীত। স্বাধীনতা দিবসের দিন দেশপ্রেম জাগাতে এই গানের ভূমিকা রয়েছে।