চাঁদের কক্ষপথে পা রাখল ‘চন্দ্রযান-৩’, সামনেই ভারতের ইতিহাস গড়ার হাতছানি…
শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে 'চন্দ্রযান-৩', ঘোষণা করল 'ইসরো'

গত ১৪ জুলাই দুপুর ২:৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটা
থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে ভারতের
‘চন্দ্রযান-৩’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রহস্যভেদ করবে ইসরোর মহাকাশযান। এই পৃষ্ঠে সফল অবতরণ হলে পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণের খাতায় নাম তুলবে ‘চন্দ্রযান-৩’।
ভারতবাসীর স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে জড়িয়ে চাঁদে পাড়ি জমায় ‘চন্দ্রযান-৩’। মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণের পর সাংবাদিক বৈঠকে ইসরো প্রধান জানান, ‘পয়লা অগাস্ট থেকে চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার পরিকল্পনা চলছে’। আর এবার অগাস্টের ৬ তারিখ নাগাদ খবর পাওয়া গেল, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে ‘চন্দ্রযান-৩’।
ইসরোর তরফে আন্দাজ করা হয়েছিল, শনিবার সাতটা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে মহাকাশযান। আর সেই আন্দাজ মিলতে দেরি হল না। আটটা নাগাদ ইসরোর তরফে জানানো হয়, চাঁদের কক্ষপথে পা রেখেছে ভারতের ‘চন্দ্রযান-৩’। তবে এখনও সামনে রয়েছে প্রচুর চ্যালেঞ্জ। ‘চন্দ্র’ কক্ষপথে প্রবেশের পর ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান-৩’। আর এই চ্যালেঞ্জ শুরু হবে ৬ অগাস্ট রাত এগারোটা থেকে। আশা করা যাচ্ছে, সব কিছু ঠিক থাকলে ২৩ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ড করবে ‘চন্দ্রযান-৩’। ইতিমধ্যে, চাঁদের কক্ষপথে ‘চন্দ্রযান-৩’-এর প্রবেশকে ‘মাইলস্টোন’ বলে উল্লেখ করছেন বিজ্ঞানীমহল।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌছে সেখানকার তথ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ‘চন্দ্রযান-৩’। মাটি, তাপমাত্রা ও রাসায়নিক উপাদান নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে। যেহেতু এর আগে কোনোও দেশ চাঁদের এই অংশে পা রাখতে পারেনি, সেহেতু ভারতের মহাকাশযানের চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডিং হলে তা নতুন নজির গড়বে। ইসরোর এই মিশনের ফলে খুলে যেতে পারে বিপুল তথ্যের ভাণ্ডার আর তাই কেবল ভারতবাসী নন, গোটা পৃথিবীর মানুষ এই মিশনের সফলতার শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন।