Chattisgarh Government: গোমূত্রের ওপর বাড়তি গুরুত্ব , পদ্ম শিবিরের দেখানো পথেই এবার ছত্তিশগড়

রিমা শিয়ালী, কলকাতা: গরু থেকে পাওয়া বিভিন্ন জিনিসের উপকারিতা সম্মন্ধে সকলেরই জানা আছে।দুগ্ধই ( cow milk ) হোক বা গোবর ( cow dunk ) মানুষের নৃত্য প্রয়োজনীয় কাজে তা সর্বদা ব্যবহার হয়ে থাকে।তবে গরু থেকে পাওয়া উপাদান নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে আলাদাই চর্চা চলে।গরুর দুধে সোনা পাওয়া থেকে শুরু করে গোমূত্রের উপকারিতা, সবকিছু নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বহুবার বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপির নেতানেত্রীদের।আর এবার গোমূত্রকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ছত্তিশগড় সরকার ( Chattisgarh Government ) ।তিনি জানিয়েছেন এবার থেকে ছত্তিশগড়ে সরাসরি কৃষকদের থেকেই কেনা হবে গোমূত্র ( cattle urine )।বদলে তাদের দেওয়া হবে টাকা।গবাদি পশুর সুরক্ষার্থেই নাকি নেওয়া হয়েছে এই বিশেষ ব্যবস্থা।

কেন গোমূত্রকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার?

সম্প্রতি ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল গোমূত্রের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সরকারি সূত্র থেকে জানা গেছে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকেই সরকার কিনবে গোমূত্র। এর ফলে কৃষকদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি গবাদি পশুরাও সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করেন ছত্রিশগড়ের কংগ্রেস সরকার।

গোধন ন্যায় যোজনা

পূর্বে ২০২০ সালের ২৫ জুন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ছত্রিশগড়ে গোধন ন্যায় যোজনা চালু করেন।এই যোজনা অনুযায়ী কৃষক ও গো পালকদের কাছ থেকে সরকার গোবর কেনা চালু করেছিলেন। কোন গরু বৃদ্ধ হওয়ার পর তাকে প্রায়ই রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর ফলে দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। আর গোধন ন্যায় যোজনার উদ্দেশ্য ছিল গবাদি পশুদের সুরক্ষা দানের মাধ্যমে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমানো।এই যোজনা দ্বারা দু বছরে গোবর সংরক্ষণের ফলে প্রায় ২০ লক্ষ কুইন্টাল জৈবসার উৎপাদন করতে পেরেছে সরকার। গোবরের পরেই এখন গোমূত্র সংরক্ষণ করতে চলেছে ছত্রিশগড় সরকার।

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ,বিশ্বরেকর্ডের দোরগোড়ায় টিম ইন্ডিয়া

কিভাবে হবে গোমূত্র সংরক্ষণ প্রক্রিয়া?

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের উপদেষ্টা প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন গোবর সংরক্ষণের পাশাপাশি একই ভাবে গোমূত্রও সংরক্ষণ করবে ছত্তিশগড় সরকার। গ্রাম গৌথন সমিতির মাধ্যমেই করা হবে গোমূত্র সংরক্ষণ। এছাড়াও গরুর মালিককে এর বদলে দেওয়া হবে টাকা। গোমূত্র সংরক্ষণের ১৫ দিনের মাথায় গরুর মালিককে দেওয়া হবে টাকা। প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন তাদের জৈব কীটনাশকের প্রয়োজন এবং গোমূত্র জৈব কীটনাশক তৈরির প্রাথমিক উপাদান রূপে ব্যবহার করা হয়। সেই কারণে সরকার কৃষকদের থেকে গোমূত্র কেনার পরিকল্পনা করেছে। মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে যাবতীয় গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন।তিনি জানিয়েছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:Russia-Ukraine War: ইউক্রেনকে অস্ত্রের মাধ্যমে সাহায্য ন্যাটো-র, কিন্তু পরিসংখ্যান দিচ্ছে অন্য হিসেব




Leave a Reply

Back to top button