অন্ধ্রপ্রদেশের ঘন ‘মিচাং’-এর মেঘ!
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মিচাং আছড়ে পড়ার সাথে সাথে চেন্নাইয়ে শুরু হয়েছিল দেদার বৃষ্টি। সোমবার থেকে এর প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। ঝড়ের বৃষ্টি এবং পরবর্তীতে বন্যা হয়ে যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃত্যু হয় ১২জনের।

মধ্য উপকূলীয় অন্ধ্রের উপর গভীর নিম্নচাপে দুর্বল হয়ে পড়েছে সাইক্লোন মিচাং (Michaung)। বুধবার ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট (IMD)র তরফে জানানো হয়েছে, সাইক্লোন মিচাং দুর্বল হয়ে মধ্য উপকূলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বাপটলার প্রায় ১০০ কিমি উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে এবং খাম্মাম থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এর প্রভাব পড়বে। ৬ ঘন্টার মধ্যে আরও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ৬ ঘন্টার মধ্যে আরও একটি ওয়েল মার্কড লো প্রেশার এরিয়া (WML)-এ পরিণত হবে, জানানো হয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (X)-এর অফিসিয়াল IMD হ্যান্ডেলের করা একটি পোস্টের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মিচাং আছড়ে পড়ার সাথে সাথে চেন্নাইয়ে শুরু হয়েছিল দেদার বৃষ্টি। সোমবার থেকে এর প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। ঝড়ের বৃষ্টি এবং পরবর্তীতে বন্যা হয়ে যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃত্যু হয় ১২জনের।
মঙ্গলবার, ডিএমকে (DMK) সাংসদ কানিমোঝি বলেছিলেন, তামিলনাড়ু সরকার ২০১৫ সালের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত, যখন চেন্নাইতে বন্যা হয়েছিল। গত দুই দিনে, ৩৩ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা ২০১৫ সালের তুলনায় অনেক বেশি। তবে, সরকার এবার পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত ছিল। অনেক লোককে (নীচু এলাকা থেকে) সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং (ত্রাণ) আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে,”
কানিমোঝি মঙ্গলবার জানান, ইতিমধ্যে ৪১১টির মতো ত্রাণ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে জলও পাম্প করা হয়েছে এবং ৬০ থেকে ৭০ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।