‘ফ্রি ল্যাপটপ নয়, চাই বিদ্যুৎ সরবরাহ’, বিদ্যুৎ সংকটের জ্বালায় ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যবাসী

বিদ্যুৎ(Electricity) সংকটের বেদনায় ফ্রি ল্যাপটপের প্রলেপ। তবে তাতে মন গোলেনি রাজ্যবাসীর। ক্ষমতায় আসার জন্য বিদ্যুৎ ও জলের বিনামূল্যে সরবরাহকেই পাখির চোখ করেছিল দিল্লির(Delhi) কেজরীওয়াল সরকার। মানুষের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে এড়িয়ে যাননি তিনি। নির্বাচনী আবহে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে সঠিকভাবেই পালন করেছিলেন তিনি। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন বিনামূল্য জল ও বিদ্যুৎ। কিন্তু পরিস্থিতি এখন অনেকটা অন্যরকম। দেশ জুড়ে কয়লার ঘাটতির জেরে চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে অন্ধকার। এই পরিস্থিতি অধিকাংশ সময় লোডশেডিংয়ের মধ্যে থেকে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠছে দিল্লিবাসী।
সম্প্রতি বিনামূল্যে ল্যাপটপ(Laptop) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেজরীওয়াল সরকার। তবে তাতে বিশেষ আমল দিতে রাজী নন দিল্লিবাসী। ‘বিনামূল্যে ল্যাপটপ নয়, চাই পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ’, আপাতত এমনটাই রব রাজধানী জুড়ে। উল্লেখ্য, গরম বাড়তেই ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে কয়লা সংকট। পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লার জোগান না থাকায় ফের একবার দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের অভাব। দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যবাসী। শনিবার থেকেই সুর চড়া করেছেন দিল্লিবাসী। তাঁদেরক দাবি, বিনামূল্য ল্যাপটপ নয়! চাই পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এই চাঁদি ফাটা গরমে হাসফাঁস করছে রাজধানীর(Delhi) বাসিন্দারা। গরমের মধ্যে কয়লার(Coal) সংকট কিংবা অন্য কোনও কারণ, কোনও বিষয়েই অজুহাত শুনতে নারাজ দিল্লিবাসী। তাঁরা জানিয়েছেন, ক্ষমতায় আসার সময় প্রতি বাড়ি অনুপাতে বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আম আদমি পার্টির সরকার। এখন সারাদিনই বিদ্যুৎ থাকছে না। ৫০ ইউনিটও খরচ হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বিনামূল্যে ল্যাপটপ চাই না। আপনারা বিদ্যুতের চার্জ নিন কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখুন। দিল্লির সরকার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া নিয়ে পিঠ চাপরাচ্ছেন। এদিকে, সাধারণ মানুষ অনবরত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়ে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন…স্বয়ং রাজ্যপালের ভূমিকায় ‘কালারফুল’ মদন, নিজের বায়োপিক নিয়েই তরজার তুঙ্গে কামারহাটির ‘দাদা’
আরও পড়ুন….সিনেমাপ্রেমীদের জন্য দারুন খবর! আবারও বড়পর্দায় ফিরবে শাহরুখ কাজল জুটির DDLJ ম্যাজিক
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে দিল্লির দক্ষিণ ভাটি মাইন ও ফতেহপুর ছাড়া বাকি গোটা অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থেকেছে। অফিসের কাজও অব্যাহত থেকেছে। গুরুগ্রামে দিনে ১০ ঘন্টার কাছাকাছি লোডশে্ডিং থাকছে। বিদ্যুতের এই অকাল পরিস্থিতি চলতি সপ্তাহেই দিল্লি বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন একটি বৈঠকে বসেন। এই অনটন থেকে দিল্লিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর প্রস্তাব দেন কেন্দ্রের দিকে। দিনের ঘন্টার পর ঘন্টা রাজধানীতে বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ, অব্যাহত কাজ। গরমের মাঝে পড়ে আপাতত তিতিবিরক্ত সাধারণ।