‘গনেশ চতুর্থী’তে সেজে উঠেছে মহারাষ্ট্র, প্রকাশ্যে এল বিখ্যাত লালবাগচা রাজার পুজোর ‘লুক’
মহারাষ্ট্রের প্রতিটি বাড়ি এবং বিভিন্ন সর্বজনীন পুজো উৎসব কমিটিগুলো এই দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। পুজো শেষের পরে মায়ানগরী মুম্বাইতে বিশাল আকৃতির গনেশ প্রতিমা ও বিশেষ বাজনা নিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা বিশ্ব দরবারে পরিচিত।

শুভঙ্কর, মুম্বাই: আর কিছুদিন পরেই দুর্গাপুজো। সেজে উঠছে বাংলা। তার আগেই প্রতিবারের মতো এবারেও গণেশ চতুর্থীর জন্য সেজে উঠছে মুম্বাই তথা মহারাষ্ট্র। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব যেমন দুর্গাপুজো তেমনভাবেই সমারোহে মহারাষ্ট্রে পালিত হয় শিব-পার্বতীর পুত্রের পুজো ‘গণেশ চতুর্থী’। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী গণেশের জন্মদিনের দিন এই পুজো হয়। এবারের গনেশ চতুর্থী ১৯ সেপ্টেম্বর। তার আগে পুরো মহারাষ্ট্র সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইতে। পুজো শুরু হওয়ার আগে সামনে এসেছে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত লালবাগচা রাজার পুজোর প্রাথমিক ‘লুক’। জানা যাচ্ছে এইবার তাদের গণেশ মূর্তি প্রায় ১২ ফুটের। প্রতিবছরই এখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান প্রভু গণেশের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। এ বছরও তার অন্যথা হবে না বলেই মনে করছেন সকলে।
মহারাষ্ট্রের প্রতিটি বাড়ি এবং বিভিন্ন সর্বজনীন পুজো উৎসব কমিটিগুলো এই দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। পুজো শেষের পরে মায়ানগরী মুম্বাইতে বিশাল আকৃতির গনেশ প্রতিমা ও বিশেষ বাজনা নিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা বিশ্ব দরবারে পরিচিত। ভক্তদের উন্মাদনাকে সামনে রেখেই বিখ্যাত লালবাগচা রাজার পুজোর ও সিদ্ধিদাতা গণেশের মূর্তি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। নিজেদের রাজ্যের সেরা উৎসবকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি চালাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকারও। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের তৎপরতা। কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছেন না তারা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ মুম্বাইয়ের দাদার স্টেশন থেকে কোঙ্কন পর্যন্ত একটি বিশেষ ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন। ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নমো এক্সপ্রেস’। এই ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি জানান, মহারাষ্ট্রের ভারতীয় জনতা পার্টি এই উৎসবের মরশুমের জন্য ছয়টি বিশেষ শ্রেণীর ব্যবস্থা করেছে এছাড়াও ৩৩৮টি অতিরিক্ত বাঁশ দর্শনার্থীদের জন্য রাস্তায় নামানো হয়েছে যেগুলো কোঙ্কন রুটে চালানো হবে।
মহারাষ্ট্র হোক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ উৎসব প্রিয় ভারতীয়রা নিজেদের দেবদেবী নিয়ে সব সময় আবেগপ্রবণ। তার সে গণেশ চতুর্থী হোক কিংবা দুর্গাপুজো। ভারতে এবার শুরু হতে চলেছে উৎসবের মরসুম। গণেশ চতুর্থীর আগে বিশ্বকর্মা পুজো, তারপরে দুর্গাপুজো। মা দুর্গার আরাধনা শেষ হতে না হতেই দেবী কালিকার পুজো ও দীপাবলি পালন করবে গোটা ভারতবর্ষ।