“ব্যাংক ঢিলামি করলে ফেরত দিতে হবে টাকা”: গুজরাটের উপভোক্তা আদালত
আদালতের নির্দেশ, "যদি সময় মতো সাইবার জালিয়াতির বিষয় ব্যাঙ্ককে জানানো হয় গ্রাহকের তরফ থেকে, তাহলে ব্যাঙ্ক সেই গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। আর যদি ব্যাঙ্কের তরফে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয়, তাহলে তা গাফিলতি হিসেবেই গণ্য করা হবে।"

গুজরাট : এই যুগ কম্পিউটারের যুগ। এখন প্রতিটি মানুষই সাইবার জগতের সঙ্গে ভালই বন্ধুত্ব করে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া হোক কি অন্য ওয়েবসাইট, এখন সবকিছুই মানুষের হাতের মুঠোয়। এফবিতে যখন কম্পিউটারে ব্যবহার ও সাইবার জগতের মানুষের যোগদান বাড়ছে, তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার ক্রাইম। এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি পরিচিত অপরাধ এই সাইবার ক্রাইম। এখন প্রতিনিয়ত ফেসবুক হ্যাক বা অনলাইন লেনদেন করার পর ফাঁকা হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আজকের দিনে লাগাতার উঠে আসছে। এই ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে অনেক ব্যবস্থাও। তবে হাজার ব্যবস্থা নেয়া সত্বেও দমন করা যাচ্ছে না এই অপরাধকে।
তবে এবার সমস্যার সমাধান করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলো গুজরাটের উপভোক্তা আদালত। সুরাটে অবস্থিত এই আদালতের তরফ থেকে দেওয়া নির্দেশ চাপে ফেললো ব্যাংকগুলিকে। আদালতের নির্দেশ, “যদি সময় মতো সাইবার জালিয়াতির বিষয় ব্যাঙ্ককে জানানো হয় গ্রাহকের তরফ থেকে, তাহলে ব্যাঙ্ক সেই গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। আর যদি ব্যাঙ্কের তরফে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয়, তাহলে তা গাফিলতি হিসেবেই গণ্য করা হবে।”
জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে ৩৯,৫৭৮ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, নবসারি কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশন (এনসিডিআরসি)। ইউপিআই সাইবার জালিয়াতির শিকার হন ব্যক্তি। ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর তাঁর অজান্তেই ওই টাকা ডেবিট হয়েছিল। এই ঘটনাটি তার নজরে আসতে তিনি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সবকিছু জানান। পরে সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইনে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে পুলিশ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে তার অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠান। যেহেতু ব্যাংক টাকা ফেরত দিতে ঢিলামি করছিল, সেই কারণে তিনি ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর এসবিআই-কে আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু ব্যাংকের তরফ থেকে কোন জবাব না আশায়, তিনি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।