হু’র কাছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট, অন্যদিকে গুজরাত ট্র্যাডিশনাল ঔষধের ‘মক্কা’ হয়ে উঠবে বলে জানালেন ‘হু’ প্রধান
দেশের সাধারণ মানুষের মনেও ধারণা রয়েছে গুজরাট সত্যি এগিয়ে। এবার গুজরাটের প্রশংসা শোনা গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস মুখে।

শুভঙ্কর, গুজরাত: গুজরাত দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির থেকে অনেকটাই এগিয়ে বলে বিভিন্ন সময়ে দাবি করা হয় সেই রাজ্যের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। দেশের সাধারণ মানুষের মনেও ধারণা রয়েছে গুজরাট সত্যি এগিয়ে। এবার গুজরাটের প্রশংসা শোনা গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস মুখে।
সম্প্রতি জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক হয় গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ” আমি মনে করি আজ থেকে কিছু বছর পর গুজরাট ঐতিহ্যবাহী ঔষধের ‘মক্কা’ হিসাবে উঠে আসবে। এটা একটা আলাদা অন্যরকম বিষয় কিন্তু এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ”। আগের দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া মহাত্মা মন্দির কনভেনশনে গেব্রেয়েসাসের উপস্থিতিতে ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন ডিজিটাল হেলথ, হু পরিচালিত নেটওয়ার্ক’ উদ্বোধন করেন।
এই বিষয়ে ‘হু’র প্রধান বলেন, “ এটি নৈতিকতা, নীতি এবং শাসনকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এআই-এর মতো সরঞ্জামগুলির আমাদের প্রচেষ্টাকে প্রসারিত করবে। ‘জিআইডিএইচ’ নিশ্চিত করবে যে কেউ যেন পিছিয়ে না পরে”। ডাব্লুএইচও ডিজি জানান যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যের জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেলিমেডিসিন এবং এআই-এর মতো ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তির ভাল দিক গত দুই দশক ধরে বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাব ফেলেছে।
এর সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বিশ্বের ওপর পরা কোভিড মহামারীর কথাও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন বিশ্বের কাছে এখনও কোভিড মহামারী একটা হুমকি। তারা কোভিডের সর্বশেষ ভেরিয়েন্টের উপর নজর রাখছেন। তিনি বলেন, “যদিও কোভিড এখন আর বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসাবে জরুরি অবস্থা তৈরি করছে না। তবে এটি একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য হুমকি হয়ে রয়ে গেছে। ডব্লিউএইচও সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক মিউটেশন সহ একটি নতুন রূপকে খুঁজে পেয়েছে। বিএ.২.৮৬ ভেরিয়েন্টটি বর্তমানে নজরদারির অধীনে রয়েছে। আবারও সব দেশের নজরদারি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছি”।